জুমবাংলা ডেস্ক : দেশজুড়ে গরমে অতিষ্ঠ মানুষ। হচ্ছে না আশানুরূপ বৃষ্টিপাতও। তবে দেশের অধিকাংশ এলাকায় বেশি তাপমাত্রা দেখা গেলেও ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগে দেশের অভ্যন্তরে এবং ভারতের উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রভাবে বাড়তে শুরু করেছে নদনদীর পানি। এতে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সিলেট অঞ্চলে আকস্মিক বন্যার শঙ্কার কথা জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
শুক্রবার (১৬ জুন) সকালে সংস্থাটির বন্যা তথ্য কেন্দ্রের দেওয়া বুলেটিনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বুলেটিনে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় দেশের উজানে ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এর ফলে এই সময়ে সুরমা, কুশিয়ারা, মনু, খোয়াই, সারিগোয়াইন, ঝালুখালি, ভোগাই-কংশ, সোমেশ্বরী, যদুকাটাসহ সিলেট অঞ্চলের নদ-নদীসমূহের পানি সমতল দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। এতে বিপদসীমা অতিক্রম করে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার কতিপয় নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।
এছাড়া শনিবার সকালের মধ্যে তিস্তা নদী ডালিয়া পয়েন্টের পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলেও বন্যা তথ্য কেন্দ্রের বুলেটিনে জানানো হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের অভ্যন্তরে ও উজানে বৃষ্টিপাতের তথ্য তুলে ধরে বুলেটিনে জানানো হয়, শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বৃষ্টিপাত পর্যবেক্ষণ পয়েন্টগুলোর মধ্যে সিলেটের লালাখাল পয়েন্টে ২১৬, জাফলংয়ে ২১১, চিলমারীতে ১১১, নাকুগাঁও পয়েন্টে ১০৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। আরও অন্তত ১৬টি পয়েন্টে বৃষ্টি হয়েছে সর্বনিম্ন ৬০ মিলিমিটার থেকে সর্বোচ্চ ৯৫ মিলিমিটার পর্যন্ত।
একই সময়ে উজানে ভারতের অভ্যন্তরের শুধু চেরাপুঞ্জিতেই বৃষ্টি হয়েছে ৪২৬ মিলিমিটার। গ্যাংটকে হয়েছে ১১৫ মিলিমিটার। উজানের অন্য পয়েন্টগুলোতেও সর্বনিম্ন ৪৬ মিলিটার থেকে সর্বোচ্চ ৮২ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে।
সারাবিশ্বে ঝড় তোলা ভিয়েতনামের লাল জাতের কাঁঠাল চাষ এবার বাংলাদেশে
ভারী এই বৃষ্টিপাতের প্রভাবে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের নদনদীর অন্তত ৭৫টি পয়েন্টে পানি বেড়েছে বলেও জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।