লাইফস্টাইল ডেস্ক : চিরসবুজ গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ হলো বাসক। প্রাচীনকাল থেকেই কার্যকরী ওষুধ হিসেবে মানুষের রোগ নিরাময় এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যদিও ওষুধ হিসেবে এর পাতা অধিক ব্যবহার হয়। এ ছাড়া ফুল, বাকল এবং মূলও ঔষধি গুণসম্পন্ন। গবেষণায় প্রমাণিত যে, বাসকের প্রতিটি অংশে মেডিসিনালি সক্রিয় বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান এবং অ্যালকালয়েড বিদ্যমান থাকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ভ্যাসিসিন, ভ্যাসিসিনোন, ভ্যাসিসিনোল, ভ্যাসিকল, এসেনশিয়াল অয়েল, ভোলাটাইল অয়েল, অ্যাডাটোডিক অ্যাসিড।
বাসকের গুণ
বাসকে থাকা ভ্যাসিসিন ও ভ্যাসিসিনোন শ্বাসনালির সম্প্রসারক, কাশি নিবারক, কফ নিঃসারক, জ¦রনাশক ও ক্ষত দূর করতে সাহায্য করে। শ্বাসকষ্ট দূর এবং ফুসফুসের বায়ু থলিতে জমাট বাঁধা কফ তরল আকারে বের করে দিতে সহায়তা করে। এ ছাড়াও হিস্টামিন নিঃসরণ হ্রাস করে অ্যালার্জি প্রতিরোধ করে। ফলে বাসক কাশি, হাঁপানি ও শ্বাসনালির খিঁচুনিজনিত সমস্যায় উপকারী।
বাসক পাতা পেপটিক আলসার দূর করতে সাহায্য করে। বাসক পাতায় বিদ্যমান এসেনশিয়াল অয়েল শক্তিশালী অণুজীবনাশক। বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং ছত্রাকের বিরুদ্ধে কার্যকরী। যা ফুসফুসের প্রদাহ, ঠান্ডা-সর্দি, ব্রংকাইটিস, টনসিলাইটিসের চিকিৎসায় কার্যকরী। বাসক পাতার নির্যাস ডায়রিয়া, আমাশয়, খোস-পাঁচড়া, চুলকানি ও চর্মরোগে উপকারী। বাসক পাতার শুকনো গুঁড়া ম্যালেরিয়া জ¦রে ভালো কাজ করে। বাসক পাতার পেস্ট বাত ব্যথা, জোড়ায়-জোড়ায় ব্যথা, প্রদাহ, ফোলা এবং স্নায়বিক ব্যথা উপশম করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূরে বাসক পাতা বেশ কাজ দেয়।
বাসকের বহুমুখী গুণের জন্য ইউনানী এবং আয়ুর্বেদিক ফর্মুলেশনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে শরবত এজায, শরবত ছদর, শরবত তুলসী, শরবত বাসক, কুরছ সুরফিন, সিরাপ বাসকারিষ্ট, চ্যবনপ্রাশ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।