লাইফস্টাইল ডেস্ক : বাঁশগাছ, বাঁশবন, এসব কথা তো সকলেই শুনেছি। কিন্তু বাঁশকে গাছ বলা যায় কি? বিশেষজ্ঞেরা জানান বাঁশ কিন্তু মোটেও কোনও গাছ নয়।
ভারতে ১৯২৭-এর ফরেস্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী বাঁশকে গাছের মর্যাদা দেওয়া হয়। ২০১৭ সালে সেই আইন সংশোধন করে বাঁশের গা থেকে গাছের তকমা সরিয়ে নেওয়া হয়। বাঁশ যে গাছ নয় তা বিশেষজ্ঞেরা আগেই জানিয়েছেন। হতে পারে বাঁশে অত্যন্ত শক্ত একটি কাণ্ডের মত থাকে। যার গা দিয়ে পাতা বার হয়। কিন্তু বাঁশ তা সত্ত্বেও গাছ নয়।
বাঁশ এক ধরনের ঘাস। ২০১৭ সালে সংশোধিত হওয়া ইন্ডিয়ান ফরেস্ট অ্যাক্টে বাঁশকে ঘাস বলে চিহ্নিত করা হয়। বাঁশ হল বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ও সবচেয়ে লম্বা ঘাস।
বাঁশ আবার খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়। সবুজের দেশে সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধি পায় বাঁশই। কচি বাঁশ খাবার হিসাবেও সুস্বাদু অনেকের কাছে। বাঁশের মধ্যে থাকা গর্তে মাংসও রান্না করা হয়। আবার বাঁশ দিয়ে ঘর বাঁধা যায়। বাঁশ দিয়ে নির্মাণ কাজ করা যায়।
বাঁশঝাড় তৈরির জন্য আলাদা করে যত্ন লাগেনা। বাঁশ নিজের মত জন্মায়, বড় হয়। অথচ তা বাতাস থেকে সবচেয়ে বেশি কার্বন শোষণ করে। বাতাসে প্রচুর পরিমাণে অক্সিজেন ছাড়ে।
বাঁশের তন্তুকে কাজে লাগিয়ে পোশাকও তৈরি করা হয়। আবার বাঁশ ভূমিক্ষয়ও রোধ করে। বাঁশের গুণের তালিকা কিন্তু রীতিমত লম্বা। তাই এই ঘাসটিকে গাছ বলা ভুল। আবার পরিবেশ ও মানবসভ্যতায় এর দান অপরিসীম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।