বিনোদন ডেস্ক : পল্লবী দে ও বিদিশা দে মজুমদারের পর মডেল-অভিনেত্রী মঞ্জুষা নিয়োগীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে কলকাতা পুলিশ। এ দুই অভিনেত্রীর মৃত্যুর পর তাদের ব্যক্তিগত জীবনের টানাপড়েন প্রকাশ্যে আসে। তারপর প্রশ্ন উঠে—পল্লবী, বিদিশার মতো কি মঞ্জুষার জীবনেও ব্যক্তিগত টানাপড়েন ছিল! তবে এ প্রসঙ্গ উড়িয়ে দিয়েছেন মঞ্জুষার মা। তার দাবি—অতিরিক্ত লোভ কেড়ে নিয়েছে তার মেয়ের জীবন।
মঞ্জুষার মা বলেন, ‘আমার মেয়ের ব্যক্তিগত জীবনে কোনো সমস্যা ছিল না; শুধু তাড়াতাড়ি ধনী হওয়ার আকাঙ্ক্ষার কারণেই এই মর্মান্তিক পরিণতি হয়েছে তার। অভিনয় শেখার পর কিছু কাজ পেয়েছে; বেশি মডেলিং করতো। কিন্তু তাড়াতাড়ি উপড়ে উঠতে চেয়েছিল। বাড়ি-গাড়ি, টাকা সব তাড়াতাড়ি করার লোভই মেয়েকে কেড়ে নিলো। আমি ওকে অনেকবার বুঝিয়েছিলাম।’
মঞ্জুষার মা জানান, বিদিশার সঙ্গে ভালো বন্ধুত্ব ছিল মঞ্জুষার। ফলে গতকাল থেকে ভেঙে পড়েছিলেন। সারাদিন বিদিশাকে নিয়ে কথা বলছিলেন। এমনকী মঞ্জুষা নাকি তার মাকে বলেছিলেন, বিদিশা ও পল্লবীকে নিয়ে যেভাবে আলোচনা চলছে, তাকে নিয়েও হবে। শুনে মা বকাবকিও করেছিলেন এই অভিনেত্রীকে। তবে ভাবতেও পারেননি সত্যিই এ কাণ্ড ঘটাবে তার মেয়ে।
সল্টলেকের এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল মঞ্জুষার। কিন্তু সেই সম্পর্ক টেকেনি। এ সম্পর্ক ভাঙার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন মঞ্জুষা। পরবর্তীতে বর্তমান স্বামীর সঙ্গে পরিচয় হয় তার। প্রেম করেই মাস ছয়েক আগে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মঞ্জুষা। তার মায়ের দাবি, ‘মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকেরা অত্যন্ত ভালো। মেয়ের দোষেই মেয়ে গিয়েছে। সম্পর্কে কোনো সমস্যা ছিল না। কোথাও কোনো সমস্যা ছিল না।’
তবে উচ্চাকাঙ্ক্ষার জন্য মেয়ের এই ছেলেমানুষি মেনে নিতে পারছেন মঞ্জুষার মা; বার বার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন তিনি। উল্লেখ্য, দীর্ঘ দিন ধরে টলিউডে কাজ করছেন মঞ্জুষা। বর্তমানে একটি টিভি ধারাবাহিক নাটকে কাজ করছিলেন তিনি। পাশাপাশি থিয়েটারেও সরব ছিলেন এই অভিনেত্রী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।