জুমবাংলা ডেস্ক : অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সাইবার সিকিউরিটি আইন ২০২৩ বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। বেসিসের দাবি, সাইবার সিকিউরিটি আইন ২০১৮ তে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন ২০১৮ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইন ২০০৬-এর ধারা ৫৭ এর দমনমূলক আচরণ অব্যাহত রেখেছে, যা কিনা দেশের সংবিধানের পরিপন্থি এবং একই সাথে এটি মানবাধিকারের ওপর চরম হুমকি।
বৃহস্পতিবার এক আলোচনায় এ তথ্য জানায় বেসিস পরিচালক এম আসিফ রহমান।
বেসিস বলছে, সাইবার সিকিউরিটি আইন (CSA) ২০২৩ আইনটি সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী এবং ভিন্নমতাবলম্বীদের লক্ষ্য করে ব্যবহার করা হয়েছে হরহামেশা, যদিও আইন প্রণয়নকারীরা বারবার এই আইন প্রণয়নের পক্ষে বিভিন্ন যুক্তি প্রদর্শন করে এসেছেন এতদিন। সাম্প্রতিক ঘটনা, যেমন কোটাব্যবস্থার সমালোচনার জন্য অসংখ্য ব্যক্তির গ্রেপ্তার এবং ব্যঙ্গাত্মক পোস্টের জন্য অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এই আইনের অপব্যবহারের উদাহরণ।
বেসিস পরিচালক এম আসিফ রহমান বলেন, ‘সাইবার সিকিউরিটি আইন (CSA) ২০২৩ কিন্তু ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন (DSA) এর বেশিরভাগ বিধানই বজায় রেখেছে। এই আইন কর্তৃপক্ষকে কোনো অনুমতি ছাড়াই ব্যক্তিদের অনুসন্ধান, গ্রেপ্তার এবং আটক করার অতিরিক্ত ক্ষমতা প্রদান করেছে। এই আইন সরকারকে অনলাইন কন্টেন্টের ওপর নিয়ন্ত্রণের সুবিধা দেয় এবং ব্যক্তি বাক স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করে।’
বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, ‘সাইবার সিকিউরিটি আইন (CSA) ২০২৩ বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং ব্যক্তি নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। ভিন্নমত দমনের অবসান ঘটাতে এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানগুলোর সাথে সঙ্গতি রাখতে এই আইন বাতিল করতে হবে।’
সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত, যেসব বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা
বেসিস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সাইবার সিকিউরিটি আইন (CSA) ২০২৩ বাতিল বা উল্লেখযোগ্যভাবে সংশোধন করার জন্য আহ্বান জানায়। এই আইনের আওতায় আটক ব্যক্তিদের মুক্তি দেওয়ার এবং তাদের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ প্রত্যাহারের উদাত্ত আহ্বান জানায়। একইসাথে সংবিধান পরিপন্থি এই আইনটি বাতিলের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।