বিনোদন ডেস্ক : চলচ্চিত্রের জগতে অনেক সময়ই কিছু দৃশ্য এতটাই বাস্তব রূপ নেয় যে দর্শক বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন—এটা কি অভিনয়, নাকি বাস্তব? এমনই কিছু সাহসী সিনেমা রয়েছে যেখানে গল্পের প্রয়োজনে চরিত্রদের খুব ঘনিষ্ঠভাবে দেখা গেছে। বাস্তবঘন অভিনয় ও সাহসী উপস্থাপনাই এসব সিনেমাকে বিতর্কিত করলেও, শিল্পের দৃষ্টিকোণ থেকে পেয়েছে উচ্চ প্রশংসা।
Table of Contents
১. ক্যালিগুলা (Caligula)
১৯৭০-এর দশকে তৈরি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের এই সিনেমাটি ছিল সাহসী উপস্থাপনার জন্য আলোচনায়। এতে ব্যবহৃত অনেক দৃশ্যকে বাস্তব ঘনিষ্ঠ মনে করেন সমালোচকরা। মুক্তির সময়েই চলচ্চিত্রটি নানা বিতর্কের জন্ম দেয়, যদিও এটি একধরনের যুগান্তকারী প্রজেক্ট বলেই ধরা হয়।
২. অল অ্যাবাউট আনা (All About Anna)
ডেনমার্কের এই সিনেমায় সম্পর্কের জটিলতা এবং একাকীত্বের ওপর আলোকপাত করা হয়। এর সাহসী উপস্থাপন বেশ কিছু দেশে সমালোচিত হলেও কিছু দর্শকের কাছে এটি হয়ে ওঠে আত্মবিশ্লেষণের উপলক্ষ।
৩. দ্য ব্রাউন বানি (The Brown Bunny)
এই সিনেমার প্রধান চরিত্রের আবেগঘন যাত্রা এবং সম্পর্কের প্রকাশভঙ্গি ছিল অনেকটাই অপ্রচলিত ধাঁচের। সিনেমাটিতে ব্যবহৃত ঘনিষ্ঠ দৃশ্যগুলো নিয়ে তৈরি হয়েছিল প্রচুর আলোচনা।
৪. নিম্ফোম্যানিয়াক (Nymphomaniac)
পরিচালক লার্স ভন ত্রিয়ের নির্মিত এই দুই পর্বের চলচ্চিত্রে সম্পর্ক ও মানসিক টানাপোড়েনের গভীরে প্রবেশ করা হয়। এর কাহিনির গঠন, ক্যামেরার কাজ ও চরিত্র বিশ্লেষণ চলচ্চিত্র বোদ্ধাদের কাছে প্রশংসিত।
৫. লাই উইথ মি (Lie with Me)
সম্পর্কে বিশ্বাস, ভাঙন এবং আবেগময় মুহূর্তগুলো নিয়ে নির্মিত এই চলচ্চিত্রে দুটি চরিত্রের মানসিক পরিবর্তন ও আত্মপ্রকাশের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। এ সিনেমার দৃশ্যগুলো রিয়েল-টাইম অভিজ্ঞতার মতো উপস্থাপিত।
৬. সুইট সুইটব্যাকস ব্যাডঅ্যাস সং (Sweet Sweetback’s Baadasssss Song)
একটি আফ্রিকান-আমেরিকান চরিত্রের আত্ম-অন্বেষণের কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে এই ছবিতে। ১৯৭১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিটি সাহসী ও রাজনৈতিক বার্তার জন্য বিশেষভাবে পরিচিত।
৭. গান্ডু (Gandu)
ভারতের কলকাতাভিত্তিক এই সিনেমাটি ছিল কবিতা, মিউজিক এবং যুব সমাজের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের প্রতিচ্ছবি। সিনেমাটি বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক ফেস্টিভ্যালে প্রশংসিত হয় এবং আলাদা দর্শকগোষ্ঠী তৈরি করে।
৮. বেইস মোয়া (Baise-Moi)
ফরাসি এই ছবির গল্প নারীর অধিকার ও প্রতিশোধ ঘিরে আবর্তিত। এটির উপস্থাপন যথেষ্ট প্রতিবাদমূলক ও সাহসিকতায় ভরপুর, যার জন্য এটি কয়েক দেশে নিষিদ্ধও হয়েছিল।
৯. নাইন সংস (9 Songs)
সংগীত ও সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত এই ব্রিটিশ সিনেমাটি বাস্তব অভিজ্ঞতা ও আবেগের মিশেল। চলচ্চিত্রটিতে আটটি ভিন্ন ব্যান্ডের পারফরম্যান্সও স্থান পায়।
১০. লাভ (Love)
ভালোবাসা ও আবেগের জটিল গাঁটছড়া ফুটিয়ে তোলা হয় এই ছবিতে। গ্যাসপার নুই পরিচালিত সিনেমাটি কান চলচ্চিত্র উৎসবেও প্রদর্শিত হয়েছিল। ভালোবাসা নিয়ে দর্শনমূলক ব্যাখ্যার জন্য এটি সমালোচকদের প্রশংসা পায়।
এমন সাহসী সিনেমাগুলো কখনো কখনো বিতর্কের জন্ম দিলেও, শিল্পের স্বাধীনতা এবং মানুষের বাস্তব অভিজ্ঞতাকে তুলে ধরতে সাহসী প্রচেষ্টা হিসেবে বিবেচিত হয়। বাস্তবঘন উপস্থাপনা ও অভিনয়ের জন্য এগুলো হয়ে উঠেছে চলচ্চিত্র ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।