লাইফস্টাইল ডেস্ক : কথায় আছে— পৌষের শীত মোষের গায়ে, মাঘের শীত বাঘের গায়ে। বাংলার মুখে মুখে এই প্রচলিত প্রবাদ অবশ্য এখন আর খুব একটা কাজে দেয় না। কারণ ডিসেম্বরেও যেখানে কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম ঝরে, সেখানে ধরে নেওয়া যায়— হাড়কাঁপানো শীতের ধারণাটি ধীরে ধীরে বিলুপ্তির পথে।
অথচ অনেকেই এই ‘ঘাম ঝরা’ শীতেও গোসল করেন গরম পানি দিয়ে। তবে বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে— শীতে ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করার সাহস দেখাতে পারলে মৌসুমি অসুখ-বিসুখ থেকে দূরে থাকা যায়।
কারণ পুরো শীতকালজুড়েই নানা শারীরিক সমস্যা পিছু ধাওয়া করে। এই সর্দি-কাশি থেকে শুরু করে গেঁটে গেঁটে ব্যথা আর অসুস্থতায় জর্জরিত হয়ে যেতে হয়।
চিকিৎসকরা বলছেন, শীতে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারে তলানিতে এসে ঠেকে। আর সে কারণেই রোগবালাই সহজেই বাসা বাঁধে শরীরে।
২০১৬ সালে ‘প্লাস ওয়ান’-এ প্রকাশিত একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, শীতে ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে মৌসুমি রোগের ঝুঁকি ২৯ শতাংশ কমে যায়। এ ছাড়া ঠান্ডায় শীতল পানিতে গোসল করার আরও অনেক উপকারিতা আছে। ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে শরীরে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে না। প্রদাহজনিত সমস্যাও দূর করে।
আর শীতে ঠান্ডা পানিতে গোসল করার নানা উপকার আছে, ঠিক। তবে এই অভ্যাসে একটু রাশ না টানলেও মুশকিল হতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। বিশেষ করে ত্বকে এর প্রভাব পড়তে পারে বেশি। চর্মরোগ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শীতে এমনিতেই ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে সেই সমস্যা বেড়ে দ্বিগুণ হতে পারে।
শীতে ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে ত্বকের যা যা সমস্যা হতে পারে জেনে নিন—
১. ত্বক খসখসে হয়ে পড়ে। আর্দ্রতার অভাবে ত্বকের নিজস্ব জেল্লাও উবে যেতে পারে। ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়ে ত্বক।
২. ত্বকে অস্বস্তি হয়। চুলকানি, জ্বালা ভাব ও লাল হয়ে যাওয়ারও ঝুঁকি থাকে।
৩. স্পর্শকাতর ত্বক হলে ঠান্ডায় হিমশীতল পানিতে গোসল করার অভ্যাসে হতে পারে অ্যাকজিমাও।
যে উপায়ে আপনি গোসল করবেন
চর্মরোগ চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, শীতে একেবারে ঠান্ডা পানিতে গোসল করা ঠিক হবে না। বরং হালকা গরম পানিতে গোসল করতে পারলে ভালো। তাতে দুদিকই রক্ষা হয়। ত্বকের সমস্যাও এড়ানো যায়, আবার শীতের সকালে গোসলের সময় আরামও মেলে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।