সাইফুল ইসলাম : মানিকগঞ্জে আলেম-ওলামা ও তৌহিদী জনতার হামলার কয়েক ঘণ্টা পর আবারও বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করছে বাউল শিল্পী আবুল সরকারের অনুসারী বাউল ও ভক্তরা।

রবিবার দুপুর একটার দিকে জেলা বিআরটিএ অফিসের পাশে এবং ক্যাফে ২১ রেস্টুরেন্টের সামনে শতাধিক বাউল ও তাদের ভক্তকে জড়ো হতে দেখা যায়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে—এমন আশঙ্কায় পরে পুলিশ এসে তাদের সেখান থেকে সড়িয়ে দেয়।
এর আগে সকাল সাড়ে দশটার দিকে শহরের সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের পাশে মানববন্ধনের জন্য বিক্ষিপ্তভাবে জড়ো থাকা বাউল ভক্তদের ওপর হামলা চালায় তৌহিদী জনতার একটি অংশ। এতে আহত হন অন্তত তিন বাউল ভক্ত—শিবালয়ের সাঁকরাইল গ্রামের আব্দুল আলিম, হরিরামপুরের ঝিটকার জহুরুল এবং সিংগাইরের তালেবপুর এলাকার আরিফুল ইসলাম। হামলার সময়ে তৌহিদী জনতার পক্ষের মাওলানা আব্দুল আলীম নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষকও আহত হন। হামলার পর একাধিক বাউল ভক্ত পালিয়ে যায়; তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ জানায়, বাউল শিল্পী আবুল সরকারের ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে গ্রেফতারের পর তার মুক্তি এবং শাস্তির দাবিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ—আলেম-ওলামা ও তৌহিদী জনতা এবং বাউল-ভক্তরা—রবিবার পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ডাকে। উত্তেজনার আশঙ্কায় আগে থেকেই আলাদা সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। তৌহিদী জনতা ও আলেম-ওলামাদের কর্মসূচির সময় নির্ধারণ করা হয় সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত, আর বাউল-ভক্তদের জন্য ১১টার পর। তবে কর্মসূচি চলাকালে পৃথকভাবে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “একটি ক্যাফের সামনে বাউলরা জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেছিল। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত গিয়ে তাদের সরিয়ে দেয়।”
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার ঘিওর উপজেলার এক গানের আসরে ‘ইসলাম ধর্ম ও আল্লাহকে নিয়ে কটূক্তি’র অভিযোগে বাউল শিল্পী আবুল সরকারকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়। আবুল সরকার সাটুরিয়া উপজেলার তিল্লী ইউনিয়নের পারতিল্লী এলাকার বাসিন্দা এবং এলাকায় ‘ছোট আবুল সরকার’ নামে পরিচিত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



