লাইফস্টাইল ডেস্ক : যারা চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য ভরসার একটি পাতার নাম তেজপাতা। সাধারণত তেজপাতাকে রান্নার নানা কাজে ব্যবহার করা হয়। মসলা হিসেবে রান্নার স্বাদ বাড়াতে এর জুড়ি নেই। কিন্তু আপনি জানলে অবাক হবেন, চুলের যত্নে দারুণ কাজ করে ভেষজ এ পাতা।
চুলের সুরক্ষায় তেজপাতার জুড়ি মেলা ভার। কারণ হিসেবে বলা যায়, এই জাদুকরি পাতার নানা গুণের কথা। আসুন জেনে নিই, চুলের যত্নে তেজপাতাকে ব্যবহারের কিছু উপায় সম্পর্কে।
চুলের সৌন্দর্যে প্রথম যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ তা হলো মাথার ত্বক ভালো রাখা। মাথার ত্বককে খুশকিমুক্ত রাখা এবং চুলকে রেশমি আর ঘন করে তোলা। আর এ সবই হতে পারে তেজপাতার ব্যবহারে।
তেজপাতা ব্যবহারের নিয়ম
এর জন্য ভালোমানের ১৫টি তেজপাতা বাছাই করুন। ১ লিটার পানিতে তা মৃদু আঁচে ফুটিয়ে নিন। পানির রং পরিবর্তন হলে এবং পানি শুকিয়ে ৫০০ মিলি হলে এই পানীয় ঠান্ডা করুন এবং একটি স্প্রে বোতলে ঢেলে নিন।
মাথার ত্বকের ও চুলের যে কোনো সমস্যা সমাধানে এই পানীয়ের স্প্রে মাথায় ও চুলে লাগান। ১ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক পানিতে গোসল করে নিন। নিয়মিত ব্যবহারে এক সপ্তাহের মধ্যেই তার সমাধান পেয়ে যাবেন আপনি।
চুলের যত্নে তেজপাতার গুণাগুণ
১। চুলের কন্ডিশনার হিসেবে প্রাকৃতিক কোনো উপাদান খুঁজতে থাকলে তেজপাতার পানিকেই ব্যবহার করতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রে শ্যাম্পুর পর এই পানীয় দিয়ে চুল ধুয়ে নেবেন।
২। তেজপাতার তীব্র গন্ধ এবং অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি মাথা থেকে উকুন দূর করতে সহায়তা করে। এ জন্য আপনি তেজপাতার গুঁড়ো নিয়ে সরাসরি মাথার চামড়ায় লাগাতে পারেন।
৩। চুল পড়ার সমস্যায় কমবেশি সবাই ভোগেন। এ সমস্যারও সমাধান আছে তেজপাতায়। এর নির্যাস ব্যবহারে চুল পড়ার সমস্যা অনেকটাই কমে। পাশাপাশি খুশকি ও চুলের রুক্ষতাও কমে।
৪। চুলের স্বাস্থ্য নষ্ট হলেই মাথার চুল দ্রুত ঝরতে শুরু করে। সেই সঙ্গে হতে থাকে নির্জীবও। তাই চুল ঝরে পড়ার প্রবণতা কমানোর পাশাপাশি চুলের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত ও মজবুত করতে চান তবে নারিকেল তেলে একই পদ্ধতিতে তেজপাতা ব্যবহার করুন।
সপ্তাহে অন্তত তিন দিন তেজপাতার নারিকেল তেল মাথার তালু ও সম্পূর্ণ চুলে মালিশ করুন। এক মাসেই নজর কাড়া পার্থক্য লক্ষ্য করবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।