খেলাধুলা ডেস্ক : বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে বায়ার লেভারকুজেনের অপরাজেয় পথচলা মুখ থুবড়ে পড়ল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মঞ্চে নেমে একটুও লড়াই করতে পারল না শাবি আলোন্সোর দল। দাপুটে জয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার পথে এগিয়ে গেল ছয়বারের ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা। আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় বুধবার (৫ মার্চ) রাতে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ৩-০ গোলে জিতেছে স্বাগতিকরা। হ্যারি কেইনের দুই গোলের মাঝে একবার জালে বল পাঠান জামাল মুসিয়ালা।
প্রতিপক্ষের আক্রমণের চাপে পুরো ম্যাচেই কোণঠাসা হয়ে ছিল লেভারকুজেন। বল দখলেও আধিপত্য করা বায়ার্ন গোলের জন্য মোট ১৭টি শট নিয়ে ৬টি লক্ষ্যে রাখতে পারে। বিপরীতে প্রথমার্ধে তিনটি শট নিয়ে একটি লক্ষ্যে রাখা লেভারকুজেন দ্বিতীয়ার্ধে কোনো শটই নিতে পারেনি! চলতি মৌসুমে লেভারকুজেনের সঙ্গে চতুর্থ দেখায় জয়ের স্বাদ পেল বায়ার্ন মিউনিখ। প্রায় আড়াই বছরের মধ্যেই মুখোমুখি লড়াইয়ে তাদের এটা প্রথম জয়; সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে আগের ছয় মুখোমুখি লড়াইয়ে তিনটিতে জিতেছিল লেভারকুজেন, বাকি তিনটি ড্র।
ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরুতে লেয়ন গোরেটস্কার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর, লক্ষ্যে নেওয়া পরের শটেই সাফল্য পেয়ে যায় বায়ার্ন। নবম মিনিটে মিডফিল্ডার মাইকেল ওলিসের ক্রসে হেডে দলকে এগিয়ে নেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড কেইন। পাঁচ মিনিট পর গোলরক্ষককে একা পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি লেভারকুজেনের জেরেমি ফ্রিমপং; ডাচ ডিফেন্ডারের কোনাকুনি শট সময়মতো এগিয়ে গিয়ে রুখে দেন মানুয়েল নয়ার। কিছুক্ষণ পর জামাল মুসিয়ালার হেড ক্রসবারে লাগলে বাড়েনি ব্যবধান।
গোলরক্ষকের মারাত্মক ভুলে ৫৪তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল হজম করে লেভারকুজেন। জসুয়া কিমিখের ক্রস আয়ত্ত্বেই ছিল মাতেই কোভারের, কিন্তু লাফিয়ে বলে হাত ছোঁয়ালেও ধরতে পারেননি তিনি। তার পেছনেই থাকা মুসিয়ালা আলগা বল হালকা টোকায় জালে পাঠান। কিছুক্ষণ পর লেভারকুজেনের ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় বড় চোট লাগে। কিংসলে কোমানকে পেছন থেকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ডিফেন্ডার নর্দি মুকিয়েলে। ৭৫তম মিনিটে সফল স্পট কিকে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন কেইন। ডি-বক্সে তাকেই ডিফেন্ডার এডমন্ড ফাউল করলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির দেন রেফারি। চলতি আসরে ইংলিশ তারকার গোল হলো ৯টি।
মনোবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে এই ৭গুন একজন সত্যিকারের ভালো মানুষকে সংজ্ঞায়িত করে
শেষ দিকে দারুণ একটি সুযোগ তৈরি করেন মুসিয়ালা। ডি-বক্সে অসাধারণ ভঙ্গিমায় প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের মাথার ওপর দিয়ে বল নিয়ে পালিনিয়াকে পাস দেন তিনি, কিন্তু পর্তগিজ মিডফিল্ডারের জোরাল শট ক্রসবারে বাধা পায়। আরও বড় ব্যবধানে পরাজয় থেকে বেঁচে যায় সফরকারীরা। এই দাপুটে পারফরম্যান্সের আত্মবিশ্বাস নিয়ে আগামী মঙ্গলবার লেভারকুজেনের মাঠে ফিরতি লেগের লড়াইয়ে নামবে বায়ার্ন। সেই ম্যাচে ঘরের মাঠে সুবিধা কাজে লাগিয়ে বুন্ডেসলিগার চ্যাম্পিয়নরা ঘুরে দাঁড়াতে পারে কিনা, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।