জুমবাংলা ডেস্ক: ঈদের আগে আরেক দফা বাড়ল নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের দাম। গতকাল বুধবার এক দিনেই রাজধানীর খুচরা বাজারে খোলা সয়াবিন, পাম অয়েল, মসুর ডাল, ময়দা থেকে শুরু করে পেঁয়াজ, রসুন ও ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে সয়াবিন ও পাম অয়েলের। ঈদের মাত্র সপ্তাহখানেক আগে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন ভোক্তারা। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন স্বল্প আয়ের মানুষ।
গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন, পাম অয়েলের দাম লিটারে ১২ থেকে ১৭ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, বাজারে মিলাররা খোলা সয়াবিন, পাম অয়েল ও সুপার পাম অয়েলের সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন।
গতকাল রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ১৭০ থেকে ১৭২ টাকা, পাম অয়েলে ১৫৮ থেকে ১৬২ টাকা ও সুপার পাম অয়েল ১৬০ থেকে ১৬২ টাকায় বিক্রি হয়। যা এক দিন আগে যথাক্রমে ১৫৫ থেকে ১৫৮ টাকা ও ১৪২ থেকে ১৪৫ টাকা ও ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। যদিও সরকার খুচরা বাজারে বিক্রির জন্য প্রতি লিটার খোলা সয়াবিনের দাম ১৩৬ টাকা ও পাম অয়েল ১৩০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে।
সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) গতকাল তাদের বাজারদরের প্রতিবেদনে সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম বাড়ার বিষয়টি জানিয়েছে। তবে সরকারের কোনো সংস্থা অনুমতি ছাড়া তেলের দাম বাড়ানো হলেও এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি।
এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে গতকাল কাওরান বাজারে বাজার করতে আসা নাজমুল আলম বলেন, আমরা ভোক্তারা জিম্মি হয়ে পড়েছি। ইন্দোনেশিয়া পাম অয়েল রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে শনিবার। তা কার্যকর হবে বৃহস্পতিবার। কিন্তু তার আগেই দেশের বাজারে সয়াবিন, পাম অয়েলের দাম বেড়েছে। এ অবস্থা চলতে পারে না। সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা অফিস প্রধান মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, তেল নিয়ে কোনো ধরনের নৈরাজ্য মেনে নেওয়া হবে না। কেউ কারসাজি করে তেলের দাম বাড়ালে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতকাল কেজিতে তিন টাকা বেড়ে বড়দানা মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯৮ থেকে ১০৫ টাকা। বেড়েছে খোলা ময়দার দামও। কেজিতে তিন টাকা বেড়ে গতকাল বাজারে তা ৫৫ থেকে ৫৮ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। দেশে বেশ কিছুদিন ধরে পেঁয়াজের বাজার শুধু স্থিতিশীলই নয়, নিম্নমুখীও। কিন্তু গতকাল বাজারে সব ধরনের পেঁয়াজই কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৩৫ টাকা ও আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের পাশাপাশি রসুনের দামও বেড়েছে। প্রতি কেজি দেশি রসুন ৫০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি ১০ টাকা বেড়ে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।