বাজার থেকে উধাও ৫ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল

Soyabin Oil

জুমবাংলা ডেস্ক : মাস খানেক ধরেই বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট। রোজা এগিয়ে আসায় তা আরও প্রকট হচ্ছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের অভিযোগ, বাড়তি মুনাফার জন্য কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে বড় কোম্পানিগুলো। সরকারি সংস্থার পর্যবেক্ষণেও উঠে এসেছে এমন তথ্য। তবে খুচরা পর্যায়ে গড়পড়তা কিছু অভিযান চললেও মিল পর্যায়ে নেই যথাযথ নজরদারি।

Soyabin Oil

বছরের শুরু থেকেই রাজধানীর বাজারের মুদি দোকানে সয়াবিন তেল কিনতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে ক্রেতাদের। বেশিরভাগ দোকান থেকেই উধাও পাঁচ লিটারের বোতল। কম ওজনের বোতল কিছু মিললেও সেজন্য গুণতে হচ্ছে বাড়তি টাকা।

একজন ক্রেতা বলেন, ‘এটা মজুদ করে যাতে দাম বাড়াতে না পারে, কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে এজন্য সরকারের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। রমজানতো এ জন্যই মনে হয় দাম বেশি।’

তেলে সংকটের জন্য বিক্রেতারা দুষছেন বিপণন প্রতিষ্ঠানগুলোকে। তাদের দাবি রোজায় বাড়তি মুনাফার জন্যই বাজারে তেল না ছেড়ে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারের একজন বিক্রেতা বলেন, ‘ডিলার পয়েন্টে টাকা অ্যাডভান্স করে রাখা হয়েছে কিন্তু তারা মাল দিচ্ছে না। রোজার আগে এরা করে কি জানেন? সব কিছু মার্কেট থেকে ভ্যানিস করে দেয়। এক কথায় নাই।’

এদিকে রমজান সামনে রেখে সারা দেশেই বাজার তদারকিত নেমেছে সরকারি সংস্থাগুলো। তাতেও মিলছে না সুফল। খুচরা পর্যায়ে জরিমানা করা হলেও পার পেয়ে যাচ্ছে বড় মিল মালিকরা।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপ পরিচালক ফয়েজ উল্লাহ বলেন, ‘কোনো খুচরা বা পাইকারি বিক্রেতা যেন মূল্যের ওপরে বা অন্য কোনো ভাবে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে কারচুপির কোনো চেষ্টা না করে। করলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। অনুরোধ থাকবে, রমজানে যাতে কোনো মানুষকে কোনো অভিযোগ করতে না হয়। যদি অভিযোগ করে আমরা ভোক্তা অধিকার ও আইন শৃঙ্খলা সংস্থা আইন প্রয়োগে কঠোর হবো।’

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘আমাদের হাতে সময় আছে এখনও। আমি আশাবাদী, মন্ত্রণালয় অবশ্যই কোনো না কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কোম্পানির সাথে হয়ত তারা আলোচনা করবে। আমাদের একটা ন্যাশনাল টাস্কফোর্স আছে। তারা হয়ত দ্রুত যে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। আমরা এ বিষয়ে আশাবাদী।’

‘কালো জলে কুচলা তলে’ গানে দুর্দান্ত নাচ, ভাইরাল সুন্দরী রিয়া সাহা

ট্যারিফ কমিশনের হিসাবে রোজায় দেশে ভোজ্যতেলের চাহিদা তিন লাখ টন ।এনবিআরের তথ্য, ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমদানি হয়েছে চার লাখ টন।