স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশ ক্রিকেটের কোচিং প্যানেলে বিদেশিদের প্রাধান্য দীর্ঘদিন ধরেই। জাতীয় দলের পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেট, বিপিএলেও দলগুলোর কোচিংয়ে দেখা যায় বিদেশিদের। এমনকি মাঠের কিউরেটরের দায়িত্বেও আছেন বিদেশি। এই বিদেশিদের পেছনে প্রতি মাসে বড় অঙ্কের অর্থ খরচ করতে হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি)। বর্তমানে জাতীয় দলে বিদেশি কোচিং স্টাফ রয়েছে সাতজন।
জাতীয় দলের সাত বিদেশি কোচিং স্টাফের মধ্যে সর্বোচ্চ বেতন পান টাইগারদের প্রধান কোচ হাথুরুসিংহে। প্রতি মাসে রেকর্ড ৩২ হাজার ৫০০ ডলার বেতন নেন তিনি। ৩০ শতাংশ কর বাদ দিলে যা দাঁড়ায় ২৫ হাজার ডলারে, বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২৭ লাখ টাকা। মাসিক বেতনের পাশাপাশি বিসিবি থেকে আরও অনেক সুবিধা পেয়ে থাকেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী এ শ্রীলঙ্কানের পেছনে বছরে বিমান ভাড়া বাবদ বরাদ্দ ২৫ লাখ টাকা। এছাড়া জাতীয় দল ম্যাচ জিতলে ‘উইনিং’ বোনাসও পেয়ে থাকেন তিনি। তাছাড়া হাথুরুসিংহের ঢাকায় আবাসন ও পরিবহন সুবিধার খরচও বহন করে বিসিবি।
হাথুরুর পরেই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেতন পান জাতীয় দলের দক্ষিণ আফ্রিকান সহকারী কোচ নিক পোথাস। সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত টাইগারদের এই কোচ পান ১৮ হাজার ডলার বা ১৯ লাখ ৪২ হাজার ৬৯১ টাকা। টাইগারদের পেস বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করা আরেক দক্ষিণ আফ্রিকান অ্যালান ডোনাল্ড পান ১৬ হাজার ডলার বা ১৭ লাখ ২৬ হাজার ৮৩৬ টাকা।
টাইগারদের স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথের বেতন ১০ হাজার ডলার, বাংলাদেশি টাকায় যা ১০ লাখ ৭৯ হাজার টাকারও বেশি। এছাড়া শেন ম্যাকডারমট ও নিকোলাস ট্রেভর লি প্রতি মাসে পেয়ে থাকেন ৮ হাজার ডলার করে এবং শ্রী চন্দ্রশেখরন পান ৫ হাজার ডলার। সবমিলিয়ে জাতীয় দলের কোচিং স্টাফের বেতনের পেছনে মাসে ৯৭ হাজার ইউএস ডলার বা ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা খরচ ক্রিকেট বোর্ড।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।