জুমবাংলা ডেস্ক : ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট ব্যবহার করে সরকারি চাকরি নেওয়ার অভিযোগে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক এসএম আলমগীর কবীরের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুদকের সহকারী পরিচালক সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাটি দায়ের করেন। আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আলমগীর কবীর ২০০৬ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ১০ শতাংশ সরাসরি কোটায় সহযোগী অধ্যাপক (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) পদে পিএসসির মাধ্যমে নিয়োগ পান। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ওই পদের জন্য চারটি শর্ত ছিল।
দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, শর্ত অনুযায়ী আলমগীর কবীরের আবেদনের সঙ্গে মালয়েশিয়ার কামডেন ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি সংযুক্ত করেন, কিন্তু ওই নামের কোনো রেজিস্টার্ড শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মালয়েশিয়ায় পাওয়া যায়নি। একই সঙ্গে শর্ত অনুযায়ী ওই পদে চাকরির আবেদনের জন্য ন্যূনতম ৮ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার মধ্যে শিক্ষক আলমগীরের দুই বছর তিন মাস ১১ দিনের ঘাটতি ছিল।
ওই শিক্ষক চাকরির আবেদনে ডক্টরেট ডিগ্রি ও অভিজ্ঞতায় প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন উল্লেখ করে মামলায় বলা হয়, আসামি বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের প্রভাষক রাষ্ট্রবিজ্ঞান পদ থেকে প্রেষণে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এপিএস এবং তৎপরবর্তীতে তৃতীয় সচিব হিসেবে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্মকালীন সরকারি কর্মচারী হয়ে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন।
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ১০ শতাংশ সরাসরি কোটায় সহযোগী অধ্যাপক (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) পদে অবৈধ পন্থায় জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ায় অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।