জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন বলেছেন, একটা সদ্য উচ্চ মাধ্যমিক পাশ ছেলে পরিবারের হাল ধরতে ছোট্ট ফুডকার্ট দিয়েছে ইউল্যাবের সামনে। কল্পনা করতে পারেন? আমার এক ছাত্রী আছে বেশ কয়েকটা টিউশন করায় পরিবারকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য আবার নিজের বোনকে পড়ায়। আমি পৃথিবীর অনেক দেশ ঘুরেছি দেখেছি। এই বয়সে এত দায়িত্ব নিতে আমি দেখিনি। এমনকি শুনিওনি।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) অধ্যাপক মামুন তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেয়া এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেন।
পেস্টে তিনি লেখেন, ছেলেটির সেই ফুডকার্টটি ভেঙে ফেলেছে মেজিস্ট্রেট। রাগে কষ্টে দুঃখে কিছু কথা বলেছে যা ম্যাজিস্ট্রেট এবং সাথে থাকা পুলিশের কাছে বেয়াদবি মনে হয়েছে। ছেলেটাকে কিভাবে কিল ঘুষি দিয়ে গাড়িতে উঠিয়েছে দেখেছেন? হয়ত তার বাবা মাও জীবনে তার গায়ে হাত দেয়নি। এইভাবে কিল ঘুষি মারার রাইট কে দিয়েছে? একটু মানবিক হওয়া যায় না। আমাদের বিসিএস মেজিস্ট্রেটরাও মাশাল্লাহ। পুরো শরীর ভর্তি হেডম। অথচ এই ছেলেটিকে তাদের সন্তান মনে করে এই বয়সে পরিবারের হাল ধরার চেষ্টার জন্য তাকে কুর্নিশ করা উচিত ছিল। এমন ছেলে যেন সবার ঘরে ঘরে হয়।
অধ্যাপক মামুন আরো বলেন, করোনার সময় দেখেছি এই দেশের ছাত্ররা কত কষ্ট করে লেখাপড়াও করে আবার পরিবারকেও সাহায্য করে। এক ছেলের বাবা ভ্যান চালিয়ে সবজি বিক্রি করতো। করোনার সময় ভ্যান চালাতে পারেনি। ছেলেটির টিউশনও চলে যায়। তখন আমার কাছে কিছু সাহায্য চেয়েছিল। সেই ছেলে এখন আমেরিকায় পিএইচডি করছে। আজকের এই ছেলেটাকে যে কিল ঘুষি পুলিশ মারলো এই ট্রমা কি ছেলেটি ভুলতে পারবে। ওর বয়স মাত্র ১৮/১৯! কত সম্ভবনা লুকিয়ে আছে ওর ভিতরে কে জানে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।