স্পোর্টস ডেস্ক: ডারবানে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জিততে বাংলাদেশের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৭৪ রানের। রান তাড়া করতে নেমে গতকাল চতুর্থ দিনেই ১১ রানে ৩ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। আজ পঞ্চম দিনের শুরুতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ইনিংস, গুটিয়ে যায় মাত্র ৫৩ রানে। ফলে ২২০ রানের লজ্জাজনক হারের স্বাদ পায় বাংলাদেশ।
কেশব মহারাজ ও সিমন হারমারের তোপে আজ এক ঘন্টাও টিকতে পারেনি বাংলাদেশ। মহারাজ ৭টি ও হারমার ৩টি উইকেট নেন।
দিনের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলেই মুশফিককে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন কেশব মহারাজ। পাঁচ বলে রানের খাতা খুলতে পারেননি মুশফিক, বাঁচতে পারেননি রিভিউ নিয়েও।
লিটনও অবশ্য রানের খাতা খুলেছিলেন। ২ রান করে তিনিও মহারাজের শিকার। এরপর ইয়াসির আলীকে (৫) বোল্ড করে পাঁচ উইকেট পূরণ করে মহারাজ। দলীয় ৩৩ রানে মেহেদী হাসান মিরাজকে ফেরান সিমন হারমার। তাসকিনকে নিয়ে ১৭ রানের জুটি গড়ে বিদায় নেন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক নাজমুল হোসেন শান্ত। ৫২ বলে এক ছক্কা ও এক চারে ২৬ রান করেন তিনি।
খালেদ ফিরেন শূন্য রানে। আর শেষ ব্যাটার হিসেবে তাসকিন আউট হন ব্যক্তিগত ১৪ রানে।
এর আগে চতুর্থ দিনের খেলায় ব্যাট করতে নামেন আগের দিনের দুই অপরাজিত দক্ষিণ আফ্রিকান ওপেনার ডেন এলগার ও মারউই। দিনের শুরুটা ভালো ছিল না স্বাগতিকদের। ৫১ বলে ব্যক্তিগত মাত্র ৮ রানে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার সারেল মারউই। দ্বিতীয় উইকেটে কেগান পিটারসনকে সঙ্গে নিয়ে আপনতালেই খেলতে থাকেন ওপেনার ও অধিনায়ক এলগার। তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক। তাসকিনের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ার আগে করেন ৬৪ রান।
এলগারের আউট হওয়ার পর কিছুক্ষণ পরে সাজঘরে ফেরেন কেগান পিটারসেনও। আউট হওয়ার আগে ৮৫ বল খেলে করেন ৩৬ রান। আর দলের অভিজ্ঞ ব্যাটার টেম্বা বাভুমাকে মাত্র ৪ রানে আউট করেন এবাদত। কাইল ভেরিয়েন্নে ফেরেন মাত্র ৬ রানে। আর ১১ রানে মুল্ডার ও ৫ রানে কেশব মাহারাজ আউট হন। এছাড়া ১১ রানে হার্মার এবং শূন্যরানে আউট হয়েছেন উইলিয়ামস ও ওলিভার।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও ইবাদত হোসেন। এ ছাড়া দুটি উইকেটের দেখা পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।