বিজ্ঞান ও প্রযক্তি ডেস্ক : ‘হ্যাকারের’ ফাঁদ পাতা ভুবনে। যেভাবে বার বার জালিয়াতদের খপ্পড়ে পড়ে বহু মানুষ সর্বস্বান্ত হয়ে যাচ্ছেন, তাতে আতঙ্ক বাড়ছে ক্রমশ। এই পরিস্থিতিতে সামনে এল এক নতুন ধরনের অ্যান্ড্রয়েড ম্য়ালওয়্যারের বিপদ! যার পাল্লায় পড়লে ফোনের সবকিছুই খোয়াতে হবে মুহূর্তে। কী নাম এই ম্য়ালওয়্যারের? ‘বিঙ্গোমোড’ নামের ওই সফটওয়্যার নাকি অ্যান্টি-ফ্রড সিস্টেমকে ‘বোকা’ বানাতে পারে অনায়াসে। জেনে নিন আপনার সাধের অ্যান্ড্রয়েড ফোনকে (Android) বাঁচাতে কী করবেন।
এই ম্যালওয়্যারের সবচেয়ে ফাঁদ ‘অ্যান্টিভাইরাসে’র ছদ্মবেশ। জানা যাচ্ছে, এভিজি অ্যান্টিভাইরাস যেটি গুগল প্লে স্টোর থেকে বিনামূল্যেই ডাউনলোড করা যায় অনেক সময় এই ধরনের অ্যান্টিভাইরাস সেজে ইউজারদের আকর্ষণ করে ‘বিঙ্গোমোড’। আর ইউজাররা সেই ফাঁদে পা দিয়ে সেটি ইনস্টল করতে গেলেই ‘সর্বনাশ’!
প্রথমেই চাওয়া হয় অ্যান্ড্রয়েডের অ্যাক্সেসিবিলিটি সার্ভিসের পারমিশন। আর একবার তা দিয়ে দিলেই ফোনের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণই প্রায় চলে যায় হ্যাকারদের কাছে। ফলে দ্রুত সব ধরনের লগইন ক্রিডেনশিয়ালস হাতিয়ে নিতে পারে। অর্থাৎ নেট ব্যাঙ্কিংয়ের সমস্ত তথ্য চলে যাবে তাদের কাছে। আর শুধু একটি ফোনই নয়। ওই ফোন থেকে ভুয়ো টেক্সট মেসেজ পাঠিয়ে অন্য ফোনকে আক্রান্ত করতে পারে। আর এক্ষেত্রে অ্যান্টি ভাইরাস থাকলেও লাভ নেই। তাকেও ‘রিমুভ’ করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে হ্যাকাররা।
১৪ দিনের ব্যাটারির স্থায়িত্ব নিয়ে বাজারে আসছে হুয়াওয়ে ব্যান্ড-৮
তাহলে উপায়? যেহেতু অ্যান্টিভাইরাস অ্যাপকেও এরা উড়িয়ে দেয়, তাই এর কবল থেকে বাঁচা বেশ কঠিন। তার উপরে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনও ‘বিঙ্গোমোড’ প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। আগামিদিনে হ্যাকাররা একে আরও শক্তিশালী করে আক্রমণ শানাতে পারে। কাজেই এই ধরনের বিপদ থেকে বাঁচতে সতর্কতাই সেরা অস্ত্র হবে। অর্থাৎ কোনও সন্দেহজনক টেক্সট মেসেজে সাড়া দেবেন না। কোনও ধরনের লিঙ্কে ক্লিক করা তো নৈব নৈব চ। তাহলেই একমাত্র রক্ষা পাবেন। অন্যথায় বিপদ হতে পারে সাংঘাতিক। কাজেই সাধু সাবধান। বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।