অন্যরকম খবর ডেস্ক : থাইল্যান্ডের রাস্তার সুন্দরী ঝাড়ুদার পাত্তারামনা থোচারয়েন (২৭)। তবে ‘বো’ নামেই তিনি বেশ পরিচিত। ম্যানিকিউর করা নখেই তুলে ফেলেন রাস্তার আবর্জনা। ফ্যাশনেবল পোশাকে সেজেগুজেই করেন রাস্তা ঝাড়ুর কাজ।
কাজের ফাঁকে আবার টিকটকও করেন। অনুসারী আছে ৩ লাখেরও বেশি। তাদের মধ্যে কেউ কেউ তাকে থাইল্যান্ডের রাস্তার সবচেয়ে ‘সুন্দর ঝাড়ুদার’ বলে অভিহিত করেন। দেখে বোঝার উপায় নেই তিনি দুই ছেলের মা।
নিজের সৌন্দর্য সচেতনতা সম্পর্কে স্থানীয় গণমাধ্যমকে থোচারয়েন বলেন, ‘আমার পেশার সঙ্গে মেকআপ মানানসই না হওয়ার জন্য অনেকেই সমালোচনা করেন। আমি এটা আমার সন্তুষ্টির জন্য করি।’ বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গিতে টিকটক করেন। পোস্ট করা কিছু ভিডিও ক্লিপের জন্য গত বছর খ্যাতি অর্জন করেন।
একটি ভিডিওবার্তায় থোচারয়েন বলেন, ‘আমার জীবনের লক্ষ্য হলো সুন্দর হওয়া। আমাদের নিজেদের যতটা সম্ভব সুখী হতে হবে।’ এই ক্লিপটিতে ৩.৭ মিলিয়নেরও বেশি ভিউ হয়। এটি শুধু তার অনুসারী নয়, তার আয়ও বাড়িয়ে দেয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে তিনি শুধু টিকটকই করেন না। করেন পণ্য বিক্রয়সহ ব্যান্ড পরিচালকের কাজ। এ কাজে আয় করেন ৫০ হাজার বাথ। ব্যাংকক মেট্রোপলিটন অথরিটির অধীনে চম থং জেলায় রাস্তার পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসাবেও উপার্জন করেন ১২ হাজার বাথ। বলেন, এখন আমি আর্থিকভাবে সচ্ছল।
তার মা ছিলেন রাসাতার ঝাড়ুদার। বাবা ছিলেন আবর্জনা ফেলার ট্রাকচালক। দুজনই এখন অবসরপ্রাপ্ত। থোচারয়েন বলেন, ‘আমার বাবা-মা আমাকে বড় করার জন্য এ পেশা বেছে নিয়েছিলেন। এজন্য এ কাজ নিয়ে আমি গর্বিত।’ সন্তান ও পিতামাতাসহ পরিবারের ১০ জন সদস্যদের সঙ্গে ব্যাংককে থাকেন।
বর্তমানে থাইল্যান্ডের ৭০ মিলিয়ন জনসংখ্যার ৮০ শতাংশেরও বেশি মানুষ ঘন ঘন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে বলে জানা গেছে। ৪১ মিলিয়ন সক্রিয় টিকটক ব্যবহারকারী রয়েছে।
দেশটির ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি ব্ল– কালার গ্রুপের সহযোগী অধ্যাপক পিরায়ুথ চারোয়েনসুকমংকল, যিনি সামাজিক মাধ্যম নিয়ে গবেষণা করেন। তিনি বলেন, কেউ কেউ এটির সঙ্গে ইতিবাচকভাবে জড়িয়ে পড়লেও কেউ আবার জড়িয়ে পড়েন নেতিবাচকভাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।