আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মানব, গবাদি পশু পাচারসহ যেকোন ধরনের সীমান্ত নাশকতা রুখতে বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
রবিবার বাহিনীর দক্ষিণ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার সীমান্ত এলাকায় জওয়ানরা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মৌমাছি পালন এবং মিশন মধু পরীক্ষার একটি অগ্রণী প্রকল্প শুরু করে, যা মৌমাছি পালন এবং মিশন মধুকে প্রচার করবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশিত ‘ভাইব্রেন্ট ভিলেজ প্রোগ্রাম’-এর আওতায় সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে এই প্রকল্পটি চালু করা হচ্ছে।
এই প্রকল্পের আওতায় সীমান্তের বেড়ার কাছে কৌশলগতভাবে মৌমাছির বাক্স স্থাপন করা হয়েছে। সীমান্ত বেড়ার কাছে মৌমাছির বাক্সগুলো মাটির সামান্য উপরে রেখে, তার কাছাকাছি মৌমাছি-বান্ধব ফল ও ফুলের গাছ লাগানো হয়। বাক্সগুলোকে প্রাকৃতিক ছায়া দেওয়া হয়, যাতে মৌমাছিদের আকর্ষণের একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়। বিএসএফের এই উদ্যোগের ফলে সীমান্তের বেড়া দিয়ে অনুপ্রবেশকারী এবং চোরাচালানকারীদের প্রতিরোধেও সহায়তা হতে পারে। সীমান্তের নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন এবং অননুমোদিত প্রবেশ রোধে মৌমাছিরা যে কতটা কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে তা প্রমাণিত করার জন্য ধারাবাহিকভাবে মৌমাছির বাক্স স্থাপনের এই অনন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বিএসএফ।
এই প্রকল্পের সাফল্য নিশ্চিত করতে, গ্রামবাসীদের মৌমাছি পালন ও মিশন মধুর সুফলতা এবং তাদের নিশ্চিত বিকাশের সম্ভাবনা সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের ডিআইজি (জনসংযোগ) এ.কে আর্য গ্রামবাসীদের মধ্যে মৌমাছি পালনের জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম তুলে দেন। তিনি বলেন সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি গ্রামীণ উন্নয়নেও বিএসএফ সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।