জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীর বেশিরভাগ বাজারে ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। তবে কিছু দোকানে বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি দরেও। সপ্তাহের ব্যবধানে বৃষ্টির অজুহাতে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগী ও সবজির দাম। সংকট কাটেনি চিনির।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর সব বাজারেই গরুর মাংসের দোকানে ক্রেতাদের ভীড় চোখে পড়ার মতো। দাম কিছুটা নাগালে আসায় গত দুই–তিন সপ্তাহ ধরে বিক্রি বেড়েছে আগের চেয়ে বেশি। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুলসহ বেশিরভাগ বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা কেজিতে।
গত বুধবার ব্যবসায়ীরা ৬৫০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রির প্রস্তাব করেন সরকারকে। ওই দিন সন্ধ্যায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ডেইরি ফার্মার্স এসোসিয়েশন ও মাংস ব্যবসায়ী সমিতির এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যদিও সরকারের তরফ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত এখনও আসেনি। তবে শাজাহানপুর বাজারে গরুর মাংস মিলছে ৫৯৫ টাকায়। এতে বিক্রিও বেড়েছে কয়েকগুন।
খাদ্যপণ্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতিতে গরুর মাংসের দামও এক পর্যায়ে চলে যায় সাধারণের নাগালের বাইরে। কেজিপ্রতি দাম ছাড়িয়ে যায় ৮০০ টাকার ওপরে। দাম বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে এক পর্যায়ে গরুর মাংসের চাহিদাও কমে আসে। ফলে গত নভেম্বরের শেষের দিকে কমে আসতে শুরু করে দাম। বাজার ভেদে দাম কমে দাঁড়ায় ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। এরই মধ্যে গত বুধবার ব্যবসায়ীরা ৬৫০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রির প্রস্তাব করেন।
এদিকে গরুর মাংসের বিক্রি বাড়ায় চাহিদা কমেছে মাছের। কেজিতে প্রায় ২০ টাকা দাম কমেছে গত সপ্তাহের তুলনায়। তবে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগি কিনতে হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। বৃষ্টির কারণে শীম, ফুলকপি, কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা। বাজারে সংকট কাটেনি প্যাকেট চিনির। খোলা চিনি কিনতে গুনতে হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।