স্পোর্টস ডেস্ক : কাতার বিশ্বকাপের ফাইনাল এখন অতীত। গোটা বিশ্বের উদযাপন থেমে গেলেও বুয়েনস আইরেসে এখনও চলছে বিশ্বকাপ জয়ের উদযাপন। তবে আর্জেন্টিনা-ফ্রান্সের ফাইনাল ম্যাচটি পুনরায় আয়োজনের দাবি তুলেছে অনেক ফরাসি সমর্থক। এমন দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হওয়া বিশ্বকাপ ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা ফাইনাল ম্যাচের ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) টমাস কোয়াৎকোস্কি বলেছেন, আপনি যখন বসে বসে বিয়ার পান করবেন, চিপস খাবেন, সবকিছুই খুব সহজ মনে হবে। খবর গোল ডটকমের।
আর্জেন্টিনা এবং ফ্রান্সের মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। সেই ম্যাচ নিরপেক্ষভাবে পরিচালনা করা হয়নি, এই অভিযোগ জানিয়ে পুনরায় ফাইনাল আয়োজনের পিটিশনে অংশ নিয়েছেন দুই লাখের বেশি ফুটবল সমর্থক; যার মধ্যে ফ্রান্সের সমর্থকই বেশি।
আর এমন দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন ফাইনাল ম্যাচের রেফারি সাইমন মার্চিনিয়াক। সেই সাথে, ফাইনালের ক্লিপিং থেকে দেখা গেছে, এমবাপ্পের তৃতীয় গোল হয়েছিল যে হ্যান্ডবলের কারণে, তার তিন সেকেন্ড আগে ফ্রান্সের ডিফেন্ডার উপামেকানোর হাতেই বল লেগেছিল। বিতর্কের বিষয় তাই একটি নয়। তবে টমাস কোয়াৎকোস্কির মতে, ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বরত রেফারিদের বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। আর যেভাবে এই চাপ সামলানো হয়েছে তাতে তিনি বেশ খুশি।
আরএমসি স্পোর্টসের সাথে আলাপকালে টমাস কোয়াৎকোস্কি বলেন, ফাইনালে গোল হয়েছে ৬টি। আক্রমণের খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এমন কিছু পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, যাতে সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন পড়ে। আমাকে তিনটি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত জানাতে হয়েছিল। আর রেফারি সাইমন মার্চিনিয়াকও সেসব পরিস্থিতি দারুণভাবে সামলিয়েছে। সম্ভাব্য দুইটি লাল কার্ডের পরিস্থিতিও সামলাতে হয়েছে আমাকে। মার্কাস থুরামের ডাইভটা তো ছিল দারুণ কঠিন! মনে রাখতে হবে, ডাইভ, ভারসাম্য হারানো নাকি প্রতিপক্ষের চ্যালেঞ্জ- পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দিতে অনেক কিছুই কিন্তু ভূমিকা রাখে।
ওয়ার্নের নামে অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরা টেস্ট খেলোয়াড়ের পুরস্কার
এরপর সমালোচকদের একহাত নিয়েছেন টমাস কোয়াৎকোস্কি। বলেছেন, উষ্ণ চেয়ারে বসে যখন বিয়ার পান করছেন, চিপস খাচ্ছেন; সবকিছুকেই সহজ মনে হবে এরকম সময়ে। কিন্তু ফাইনালের রেফারিং নিয়ে হওয়া সমালোচনার দারুণ জবাব মার্চিনিয়াক আগেই দিয়েছেন। তার সাথে যোগ করে বলতে চাই, যেসব পরিস্থিতির কথা বললাম তার সাথে আরও অনেক ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিষয়ে রেফারিকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছি ম্যাচের পুরো সময়। ছোটখাটো অনেক বিষয়ও দ্রুততম সময়ে যাচাই করতে হয়েছে। একটা সিদ্ধান্ত দেয়া এত সহজ না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।