আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দুনিয়াতে আজব সব ঘটনা ঘটেই চলছে। মরে যাবার পর আবারও জীবিত হবার ঘটনা খুব বিরল হলেও অবাস্তব নয়। এমন অবিশ্বাস খবর কালে ভদ্রে মিলে। তেমনই এক খবর এসেছে লাতিনের দেশ ইকুয়েডর থেকে। কবরে নামিয়ে দেয়ার আগেই জীবিত ফিরেছেন এক বৃদ্ধা।
‘মরা মানুষ’ বেঁচে ওঠার এমন অবিশ্বাস্য ঘটনা এখন ভাইরাল গোটা দুনিয়াতে। কাতারের সংবাদ মাধ্যম আলজজিরা এক প্রতিবেদনে এমন অবিশ্বাস খবরটি দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ৭৬ বছরের এক বৃদ্ধা কফিনের ভেতর থেকে বলে উঠেছেন- ‘আমি বেঁচে আছি’।
বয়সজনিত সমস্যায় কয়েকদিন আগে ৭৬ বছরের এক বৃদ্ধাকে বাবাহোয়োর এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থা একেবারে খারাপ হয়ে যাওয়ায় তাঁকে আইসিইউ’তে নেয় হয়। কিন্তু তাঁর হৃদস্পন্দন থেমে যাওয়ার পর তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
এরপর নিয়ম মেনে বৃদ্ধার স্বজনরা হাসপাতাল থেকে ‘ডেথ সার্টিফিকেট’ সংগ্রহ করে তার দেহ কফিনে ভরে শেষকৃত্যর জন্য নিয়ে যান। কিন্তু সবাইকে অবাক করে সরকারী হিসেবে মৃত সেই বৃদ্ধা কফিন ভেতর থেকে ঠকঠক করে আওয়াজ করতে থাকেন।
এই বৃদ্ধার নাম বেল্লা মনটোয়া। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত নার্স। তার ছেলে গিলবার্তো বারবেরা জানান, মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ ও কার্ডিয়াক এরেস্টের কারণে তার মাকে শুক্রবার হাসপাতালে ভর্তি করান। ভর্তি করানোর সময় বেল্লা মনটোয়া অচেতন অবস্থায় ছিলেন।
আইসিইউ’তে নেয়ার পরও তার কোন সাড়া শব্দ পাচ্ছিলেন না চিকিৎকরা। পরে বৃদ্ধাকে মৃত ঘোষণা করে মৃত্যু সনদ দিয়ে দেন তারা। কিন্তু সোমবার শেষকৃত্যের সময়ই স্বজনরা বুঝতে পারেন, বেল্লা মনটোয়া মারা যাননি, তিনি শ্বাস প্রশ্বাস নিচ্ছেন, কথাও বলছেন।
সেখানে থাকা এক স্বজন শুনতে পান কফিনের ভেতর থেকে বৃদ্ধা বলছেন, আমি বেঁচে আছি এখনও। এতে হতচকিত হয়ে পড়েন উপস্থিত সবাই। নিজেদেরকে সামলে নিয়ে কফিন খুলে বৃদ্ধাকে বের করে আনেন তার পরিবারের সদস্যরা। দেখতে পান, সত্যিই বেঁচে আছেন বৃদ্ধা।
সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধাকে কফিন থেকে বের করে এনে আবারও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি এখন চিকিৎসকদের বিশেষ পর্যবেক্ষণে আছেন। তাঁকে আবার আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর স্বজনদের চোখের পানি হতাশার থেকে আনন্দে রূপ নিয়েছে।
তবে এই কাণ্ডে হাসপাতালের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। কিভাবে একজন জীবিত মানুষকে ডেথ সার্টিফিকেট দেয়া হলো, সেটি খুঁজে দেখতে কড়া নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।