আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কে বলে লর্ডস-বলের আওয়াজ ভেসে ওঠে! কে বলে এই ঐতিহ্যবাহী স্টেডিয়াম শুধু সাহেবদের সংস্কৃতির পৃষ্টপোষকতা করে! মইন আলি থেকে হাসিব হামিদ, আদিল খান থেকে শোয়েব মাহমুদরা দাপটের সঙ্গে ইংল্যান্ডে খেলেন।
কাউন্টির বিভিন্ন দলেও ছড়িয়ে রয়েছে একাধিক মুসলমান ক্রিকেটার। সেখানে তো মুসলিম ধর্মের প্রতি অনুরাগ থাকবেই। তাই তো ‘ক্রিকেটের মক্কা’ থেকে ভেসে এল আজানের মিষ্টি সুর। আয়োজিত হল ইফতার পার্টি।
২১ এপ্রিল ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের জন্য একটি বিশেষ দিন ছিল। ইসিবি রমজান উপলক্ষে লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে প্রথম বার একটি ইফতার পার্টির আয়োজন করেছিল। সেখানে প্রাক্তন ও বর্তমান পুরুষ ও মহিলা ক্রিকেটাররা অংশ নিয়েছিলেন।
পার্টির আয়োজন করেন ইসিবির আইটি হেল্পডেস্কের ব্যবস্থাপক তামিনা হোসেন। লর্ডসের লং রুমে এই ইফতার হয়। আজান থেকে নামাজ পড়া,সব কিছু একেবারে নিয়ম মেনে পালন করা হয়েছে।
তামিনা বলেন, “কোভিডের খারাপ সময় কাটিয়ে অনেকদিন পর আবার আমরা এক ছাদের তলায় মিলিত হলাম। আমরা সবাই একটা দারুণ মুহূর্ত উপভোগ করলাম। আমাদের সবার কাছে সবচেয়ে বড় উপলব্ধির বিষয় হল লর্ডস-এর লং রুমে একত্র হয়ে আজানের মিষ্টি সুর শুনলাম। মনে হচ্ছিল যেন সবাই একজোট হয়ে ঐশ্বরিক সুখ অনুভব করছি।”
ইফতার পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন ইংল্যান্ড সীমিত দলের অধিনায়ক অইন মর্গ্যান, প্রাক্তন অধিনায়ক গ্রাহাম গুচ, লিডিয়া গ্রিনওয়ে এবং মহিলা ক্রিকেটার ট্যামি বিউমন্ট। মর্গ্যান টুইটারে লিখেছেন, ‘লর্ডসে প্রথম বারের মতো ইফতার পার্টি অনুষ্ঠিত হল। এমন একটা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে দারুণ অনুভূতি হচ্ছে।’
প্রথম বছরেই ইসিবি-র উদ্যোগ দারুণ সফল হয়েছে। জাতীয় দল থেকে শুরু করে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে বিভিন্ন সংস্কৃতি, ধর্ম ও বিভিন্ন জাতির ক্রিকেটাররা সুযোগ পেয়ে থাকেন। ফলে আগামী অনেক বছর ধরে লর্ডস-এর ব্যালকনি থেকে আজানের মিষ্টি সুর ভেসে উঠবে এমনটা কিন্তু বলাই যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।