Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home বেনজির কি সপরিবারে পালালেন?
জাতীয়

বেনজির কি সপরিবারে পালালেন?

Saiful IslamMay 31, 20245 Mins Read
Advertisement

জুমবাংলা ডেস্ক : গত ৪ মে পরিবার নিয়ে দেশ ছেড়ে নিরুদ্দেশ পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ। তবে দেশে ছেড়ে কোথায় গিয়ে অবস্থান করেছেন সাবেক এই আইজিপি তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধোঁয়াশার।

Benzir

তার অবস্থান নিয়ে ঘনিষ্ঠদের কাছ থেকে পাওয়া যাচ্ছে দুই রকম তথ্য। কেউ বলছেন তিনি সিঙ্গাপুর আছেন, আবার কেউ বলছেন তিনি দুবাইয়ে রয়েছেন।

বেনজীর আহমেদের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনের একটি ফ্লাইটে করে গত ৪ মে তিন মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে দেশ ছাড়েন বেনজীর। সূত্রটি আরো জানায়, স্ত্রী জীশান মির্জার চিকিৎসাজনিত কারণে তারা সিঙ্গাপুর অবস্থান করছেন।

আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, বেনজীর, তার স্ত্রী জিসান মির্জা, দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাশিন রাইসা বিনতে বেনজীর দুবাইয়ে রয়েছেন। তবে তারা সেখানে কী কারণে গেছেন সেটি জানাতে পারেনি ওই সূত্র।

এদিকে সম্পদের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও তিন মেয়েকে তলব করেছে দুদক। গত মঙ্গলবার সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় থেকে তাদের তলবি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

দুদক উপপরিচালক হাফিজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে, আগামী ৬ জুন বেনজীর আহমেদকে এবং ৯ জুন তার স্ত্রী জীশান মির্জাসহ সন্তানদের দুদকে হাজির হতে বলা হয়।

বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবার জব্দের আগেই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরিয়ে নিয়েছেন কি না তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। দুদকের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৩ মে তাদের অ্যাকাউন্ট জব্দের আদেশ দেন আদালত।

তবে এসব অ্যাকাউন্টে কী পরিমাণ টাকা ছিলো, তা জানা যায়নি। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরানোর মতো করে জমি, ফ্ল্যাট বা অন্য কোনো সম্পদ বিক্রি বা স্থানান্তর করেছেন কিনা, সে তথ্যও পাওয়া যায়নি।

বেনজীরের সম্পদের বিষয়ে যেসব সরকারি সংস্থা খোঁজ রাখছে, তাদের মধ্যে একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা একটি জাতীয় দৈনিককে বলেন, গত সপ্তাহে তার অ্যাকাউন্টগুলো ফাঁকা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এর আগের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, যখনই কেউ বুঝতে পারেন তাকে ধরার চেষ্টা চলছে, তখনই তিনি টাকা সরিয়ে ফেলেছেন। অবশ্য টাকা তুললেও নগদে রেখেছেন, নাকি অন্য কারো অ্যাকাউন্টে জমা করেছেন তা বের করা সম্ভব।

বেসরকারি একটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পুরো বিষয়টি আরো পরিষ্কার করে বলেন, ডকুমেন্টের ভিত্তিতে কাজ করে ব্যাংক। ফলে সুনির্দিষ্ট আদেশের কপি ছাড়া মৌখিক কোনো তথ্য কিংবা গণমাধ্যমের খবরের ভিত্তিতে কারো অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে বা স্থানান্তর না করতে দেওয়ার সুযোগ নেই। কেননা, আদালত কারো অ্যাকাউন্ট ফ্রিজের আদেশ দিলে পরে স্থগিতাদেশ দিতে পারেন। এ রকম ক্ষেত্রে কোনো ব্যাংক টাকা তুলতে না দিলে বিপদে পড়বে।

তিনি বলেন, সাধারণভাবে এ ধরনের ব্যক্তির বিভিন্ন পর্যায়ে নিজস্ব লোক থাকে। ফলে গোপনে জানিয়ে দেওয়া হতে পারে। আবার পত্রিকায় লেখালেখি এবং দুদকের কার্যক্রমের ফলে এমনিতেই তিনি টাকা সরিয়ে ফেলতে পারেন। সাধারণত এসব ক্ষেত্রে নগদে তুলে বিশ্বস্ত কারো কাছে রাখা হয়।

এখন দেখার বিষয় বেনজীর ও তার স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেন প্রোফাইলের নিয়ম মেনে টাকা উত্তোলন হয়েছে কিনা। আবার টাকা উত্তোলন বা স্থানান্তরের পর ব্যাংকগুলো নিয়ম মেনে সন্দেহজনক লেনদেন রিপোর্ট (এসটিআর) এবং নগদ লেনদেন রিপোর্ট (সিটিআর) করেছে কিনা।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম অর্থ পাচার, মানি লন্ডারিংসহ এ ধরনের অপরাধ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করছেন।

বুধবার (২৯ মে) তিনি ওই জাতীয় দৈনিককে বলেন, দুর্নীতিবাজরা আগেই টাকা সরিয়ে ফেলে, এটাই স্বাভাবিক। বিদ্যমান ব্যাংকিং নিয়মে এটি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। তবে সরকার এখন মিডিয়ায় দেখাতে চাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।

তিনি বলেন, বেনজীর আহমেদ এক দিনে বেনজীর হননি। তাকে পুলিশের আইজি, র‍্যাবের ডিজি এ সরকারই বানিয়েছে। হঠাৎ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে বহির্বিশ্বে দেখানো হচ্ছে, সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর।

এদিকে, বেনজীর আহমেদের দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল সিটিজেন টিভির মালিকানার তথ্য পাওয়া গেছে। ২০১৭ সালে এই টিভির অনুমোদনের সময় তারা দুইজনই ছিলেন শিক্ষার্থী।

দেশের সম্পদ অনুসন্ধান চলার মধ্যেই পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে বিদেশে থাকা সম্পদ অনুসন্ধানেও নেমেছে দুদক।

বিশেষ করে সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়াসহ অন্যান্য দেশে তাদের কী পরিমাণ সম্পদ রয়েছে, সেসবের খোঁজও নেয়া হচ্ছে। দুদকের তিন সদস্যবিশিষ্ট অনুসন্ধান কমিটির প্রধান হাফিজুল ইসলামের সই করা চিঠি বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

দুদকের পক্ষ থেকে বিদেশে সম্পদের খোঁজ নিতে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) চিঠি দেয়া হয়েছে। দেশ থেকে অর্থ পাচার ঠেকাতে নীতিমালা প্রণয়ন ও সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করে বিএফআইইউ।

সংস্থাটি ‘এগমন্ট গ্রুপ’ নামের একটি ফোরামের সদস্য। এই ফোরাম বিশ্বের ১৭০টি দেশের সংশ্লিষ্ট সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত, যারা অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়নসংক্রান্ত তথ্য নিয়ে কাজ করে। ২০১৩ সালে এগমন্ট গ্রুপের সদস্যপদ পায় বিএফআইইউ।

এর আগে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জীশান মীর্জাসহ তাদের দুই মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (২৮ মে) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে তলবের এই চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে আগামী ৬ জুন তাদের দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে। তাদের দুই মেয়ে হলেন ফারহিন রিসতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীর। তবে আরেক মেয়ে জাহরা জেরিন বিনতে বেনজীর নাবালিকা হওয়ায় তাকে তলব করা হয়নি।

এরই মধ্যে আদালতের আদেশে বেনজীর পরিবারের মালিকানাধীন রাজধানীর গুলশানে বিশালাকৃতির বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, গোপালগঞ্জে ৩৪৫ বিঘা ও মাদারীপুরে ২৭৩ বিঘা জমি জব্দ এবং অসংখ্য ব্যাংক ও বিও অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ করেছে দুদক।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় যে বিপুল সম্পদ গড়েছেন বেনজীর, তার বেশির ভাগই তিনি কেনেন আইজিপি পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার পর।

এদিকে, দুবাই, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে বেনজীর আহমেদ এবং তার পরিবারের কোনো সম্পদ আছে কিনা—সে তথ্য অনুসন্ধানের অনুরোধ জানিয়ে বিএফআইইউতে চিঠি দিয়েছে দুদক। দুদকের অনুরোধ বিবেচনায় নিয়ে এসব দেশের কাছে তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে বিএফআইইউ।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে এসব দেশে সম্পদ পাওয়া গেলে পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ক্ষেত্রে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্টের (এমএলএআর) আওতায় তথ্য চেয়ে চিঠি দেবে সরকার।

তিনি আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

নথিপত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, চাকরিজীবনের শেষ দুই বছরে অর্থাৎ আইজিপি থাকাকালেই পরিবারের সদস্যদের নামে ৪৬৬ বিঘা জমি কেনেন বেনজীর। ১৯টি প্রতিষ্ঠানে শত শত কোটি টাকা বিনিয়োগ করে তার পরিবার হয়ে যায় পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী পরিবার। আইজিপি পদটি যেন তার কাছে ‘আলাদীনের চেরাগ’ হয়ে ওঠে।

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
‘জাতীয় কি পালালেন বেনজির সপরিবারে
Related Posts
শেখ হাসিনা

শেখ হাসিনার সাজা বাড়াতে আপিল করবে প্রসিকিউশন

December 16, 2025
সেলফি মাসুদ

হাদিকে গুলি: ভারতে গিয়ে সেলফি মাসুদের

December 16, 2025
মার্কিন দূতাবাস

বাংলাদেশ ভ্রমণে মার্কিন দূতাবাসের সতর্কতা জারি

December 15, 2025
Latest News
শেখ হাসিনা

শেখ হাসিনার সাজা বাড়াতে আপিল করবে প্রসিকিউশন

সেলফি মাসুদ

হাদিকে গুলি: ভারতে গিয়ে সেলফি মাসুদের

মার্কিন দূতাবাস

বাংলাদেশ ভ্রমণে মার্কিন দূতাবাসের সতর্কতা জারি

সারজিস

বাংলাদেশকে আবার পরাধীন করার চেষ্টা চলছে : সারজিস

Minister

সবকিছু এখানে বলা যাবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

Current

টানা ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

ভারত থেকে ৫০ হাজার টন চাল কিনবে সরকার

ভারত থেকে ৫০ হাজার টন চাল কিনবে সরকার, ব্যয় ২১৫ কোটি টাকা

ECC

হাদিকে নিয়ে সিইসির মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিল নির্বাচন কমিশন

economic advisor salehuddin ahmed

সিঙ্গাপুরে হাদির চিকিৎসার সব খরচ দেবে অর্থ মন্ত্রণালয় : সালেহউদ্দিন

Information Advisoure

সাংবাদিকদের কল্যাণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে সরকার : তথ্য উপদেষ্টা

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Banglanews
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.