জুমবাংলা ডেস্ক : যেসব কর্মীরা মালয়েশিয়া যেতে পারেননি তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বায়রা’র সাবেক সভাপতি বেনজীর আহমেদ এমপি।
মঙ্গলবার (৪ জুন) রাজধানীর পরীবাগের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকদের সংবাদ সম্মেলন এবং মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘যেসব কর্মীরা মালয়েশিয়ায় যেতে পারেনি তাদের ব্যাপারে সর্বোচ্চ পর্যায়ে চেষ্টা করা হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। আসা করি একটা সমাধান হবে। আর যদি সমাধান না হয়, বায়রার সভাপতি মহাসচিব দায়িত্ব নিয়েছেন। আমরাও দায়িত্ব নিয়ে বলছি এই টাকাগুলি ফেরত দেওয়ার জন্য, ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের পাশে থেকে আমরা ব্যবস্থা করবো এবং তারা টাকা ফেরত পাবে।’
তিনি বলেন, ‘অনিয়মের সাথে যদি কেউ জড়িত থাকে দুর্নীতির সাথে কেউ জড়িত থাকে অবশ্যই সেটার আইনগত ব্যবস্থা হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।’
বায়রার সাবেক মহাসচিব মোহাম্মদ রুহুল আমিন স্বপন বলেন,‘গত ৩১ মে পর্যন্ত মালয়েশিয়া সরকার ই ভিসা ইস্যু করেছে। বাংলাদেশ সরকার অনুমোদন দিয়েছে। ৩০ বা ৩১ মে যদি ই-ভিসা ইস্যু করা হতো তাহলে সংকট তৈরি হতো না। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও মালয়েশিয়া সরকার বিষয়টি দেখলে এ সমস্যা তৈরি হতো না।’
মালয়েশিয়ায় যেতে পারছেন না এমন ১৬ হাজার ৯৭০ জন শ্রমিকের প্রবাসী ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের হিসাবের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই সংখ্যা পাঁচ থেকে ছয় হাজারের বেশি নয়। এটা গত ২২ মাস আগের বিষয়। এটা অনেক আগে থেকেই সেটেল্ট হচ্ছিল। বছর শেষে যখন ব্যবসা শেষ হলো তখন আমরা বলছি টোটাল ১৭ হাজার কর্মী যেতে পারেনি। ১০১টা এজেন্সি যখন তাদের নম্বর সাবমিট করবে তখনই বলা যাবে আসলে কতজন কর্মী এখনো যাওয়া বাকি আছে। এ ছাড়া সব সময় যতগুলো ক্লিয়ারেন্স হয় ততজন কর্মী যায় কথাটা সত্য নয়। কর্মীদের মালয়েশিয়ায় পাঠাতে বা তাদের অর্থ ফেরত দিতে তারা সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন।’
বায়রার সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাশার বলেন, ‘এখন যে কর্মী যেতে পারেনি আমরা সরকারের কাছে আবেদন করেছি, সরকার চেষ্টা করেছে। এছাড়া পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাদের তালিকা করব। এজেন্সিকে কত টাকা দিয়েছে সেটাও লিপিবদ্ধ হবে। সরকার যদি এদের পাঠাতে ব্যর্থ হয়, তাহলে এজেন্সির কাছ থেকে টাকা আদায় করে কর্মীদের দেওয়ার জন্য বায়রার পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
বায়রার মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘মালয়েশিয়া সরকার নির্ধারিত সময়ের পরও ভিসা দেওয়া অব্যাহত রেখেছে এবং শেষ মুহূর্তে কর্মী পাঠানো যাবে না জেনেও মন্ত্রণালয় ছাড়পত্র দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদনের পরে যেসব কর্মীরা আসলেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের টাকা ফেরত দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। পাশাপাশি যদি সম্ভব হয় এই কর্মীদের মালয়েশিয়া পাঠানো যায় কি না সে বিষয় সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।’
সংবাদ সম্মেলনে সংসদ সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, ফেনী দুই আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, বায়রা’র সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজ, সাবেক বায়রা’র মহাসচিব কাজী মোহাম্মদ মফিজুর রহমান, জনশক্তি ও অভিবাসন বিশ্লেষক হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ, কে এম মোবারক উল্লাহ শিমুল, যুগ্ম মহাসচিব টিপু সুলতান, লিমা কামালসহ বায়রা নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।