লাইফস্টাইল ডেস্ক : বর্ষাকালে সর্দি-কাশি, জ্বর, সংক্রমণ প্রভৃতি নানা সমস্যা লেগেই থাকে। এমন সময় শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করতে পারে একটি প্রাকৃতিক উপাদান—হিং। রান্নায় ব্যবহারযোগ্য এই মশলাটি কেবল স্বাদ বাড়ায় না, বরং এতে রয়েছে ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম ও কার্বোহাইড্রেটের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। আয়ুর্বেদ অনুসারে, হিং মিশ্রিত জল একটি প্রাকৃতিক ও কার্যকর ওষুধের মতো কাজ করে। চলুন জেনে নিই, হিংয়ের জল খেলে কী কী উপকার হয়—
১. শ্বাসকষ্ট ও ঠান্ডাজনিত সমস্যায় উপকারী
বর্ষাকালে শুকনো কাশি, গলা খুসখুস, নাক বন্ধ হওয়া বা শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ার মতো সমস্যাগুলো প্রায়শই দেখা দেয়। হিংয়ের জল এই উপসর্গগুলো উপশমে সাহায্য করে এবং ফুসফুসকে চাঙ্গা রাখে।
২. উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়
যাঁরা উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন, তাঁদের ক্ষেত্রে রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি বেশি থাকে। হিং রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না এবং রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। এছাড়াও এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক।
৩. হজমে সহায়তা করে
হিংয়ের জল বিপাকক্রিয়ার গতি বাড়িয়ে দেয়। হজমের সমস্যা, পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য বা পেট খারাপের মতো সমস্যায় এটি দারুণ কার্যকর। নিয়মিত হিংয়ের জল পান করলে ওজন নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে।
৪. ঋতুস্রাবজনিত সমস্যা কমায়
মাসিক চলাকালে পেশির টান, ব্যথা বা অনিয়মিত রক্তক্ষরণে অনেকেই কষ্ট পান। হিংয়ের গুণ এই সমস্যাগুলো কমাতে সহায়তা করতে পারে।
৫. সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়
বর্ষাকালে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসজনিত সংক্রমণ খুব সাধারণ বিষয়। নিয়মিত হিংয়ের জল পান করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি কমে যায়।
মূলকথা:
বর্ষাকালে সুস্থ থাকতে চাইলে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় হিংয়ের জল রাখার কথা ভাবতেই পারেন। তবে অতিরিক্ত না খেয়ে পরিমিত মাত্রায় পান করাই ভালো। কারও কারও শরীরে হিং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া করতে পারে, তাই নতুন করে খাওয়া শুরুর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।