গার্গী তনুশ্রী পাল : শিশুসহ যে কোনো মানুষের জন্যই প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদার অন্যতম উৎস হলো দুধ।
অস্ট্রেলিয়ান সরকারের ভিক্টোরিয়া রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ পরিচালিত ওয়েবসাইট বেটার হেলদ ডট ভিআইসি ডট গভ ডট এইউয়ে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, ভিটামিন, খনিজ, বিশেষ করে ক্যালসিয়ামের একটি চমৎকার উৎস হলো দুধ। হাড় গঠনেও দুধের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। পুষ্টিবিদরা সুষম খাদ্যের অংশ হিসেবে প্রতিদিন দুধ এবং অন্যান্য দুগ্ধজাত দ্রব্য যেমন দই এবং পনির খাওয়ার পরামর্শ দেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচারের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, দুধ এবং দুগ্ধজাত দ্রব্যে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি এবং পটাসিয়ামের মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে। দুধ এবং দুগ্ধজাত দ্রব্য হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। তাই শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণ করা উচিত। দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণ করলে কার্ডিওভাসকুলার রোগ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং প্রাপ্তবয়স্কদের রক্তচাপের ঝুঁকি কমে।
দুধ এবং দুগ্ধজাত দ্রব্যে প্রোটিন, চর্বি এবং কার্বোহাইড্রেটের একটি ভালো ভারসাম্য রয়েছে। যা প্রয়োজনীয় পুষ্টির একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উৎস। দুধ একটি সুষম খাদ্য।
দুগ্ধজাত দ্রব্যে ‘উচ্চ মানের প্রোটিন’ও রয়েছে যা মানুষের প্রয়োজনের জন্য উপযুক্ত। উদাহরণস্বরূপ, খাদ্যশস্যের সাথে দুধ বা দই খেলে অ্যামিনো অ্যাসিডের ঘাটতি পূরণ হয়। কারণ দানাদার খাবারে এগুলোর ঘাটতি থাকে।
এছাড়া দুধ এবং দুগ্ধজাত দ্রব্য দাঁতের ক্ষয় থেকে রক্ষা করে বলে মনে করা হয় । অস্ট্রেলিয়ান সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের ওয়েবসাইটে বলা হয়, পনির এবং অন্যান্য দুগ্ধজাত খাবার খেলে দাঁতের ক্ষয়ের জন্য দায়ী মুখের অম্লতা হ্রাস করে, লালার প্রবাহ স্বাভাবিক রাখে, প্ল্যাক গঠন কমায়, ডেন্টাল ক্যারিস বা দাঁত ক্ষয় এর প্রকোপ কমায়।
দুগ্ধজাত খাবার হলো দুধ, দই, পনির, ল্যাকটোজ-মুক্ত দুধ এবং ফোর্টিফাইড সয়া মিল্ক এবং দই। তবে দুধ থেকে তৈরি সব খাবারকে দুগ্ধজাত খাবার বলা হয় না।
প্রতিদিন আমাদের কী পরিমাণ দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণ করতে হবে এটি বয়স, লিঙ্গ, ওজন, উচ্চতা এবং শারীরিক কার্যকলাপের ওপর নির্ভর করবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।