লাইফস্টাইল ডেস্ক : যে কয়টি ফল মোটামুটি সারাবছরেই পাওয়া যায়, তার মাঝে পেয়ারা অন্যতম। তবে বর্ষাকালে এই ফলটির কদর যেন একটু বেড়েই যায়। পেয়ারাকে অনেকে সুপার ফ্রুট বলে। কারণ এতে স্বাদের পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টিগুণ।
বৃষ্টির দিনে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে জ্বর সর্দি কাশি অবধারিত। চলুন জেনে নেওয়া যাক পেয়ারার কয়েকটি গুণাগুণ।
১. হজমের সমস্যা কমাতে সহায়ক: যেকোনো ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণে কার্যকরী ফল পেয়ারা। এই ফলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান। ফলে এটি পাকস্থলির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
২. হৃদরোগ প্রতিরোধ করে: নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে পেয়ারা খেলে রক্তচাপ কমে যায়। পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম, ভিটামিন সি রয়েছে। পটাশিয়াম নিয়মিত হৃদস্পন্দনের এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। নিয়মিত লাইকোপিন সমৃদ্ধ গোলাপি পেয়ারা খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
৩. ওজন কমায়: পেয়ারাতে ক্যালোরির পরিমাণ কম এবং ফাইবার বেশি। তাই পেয়ারা খেলে ক্ষুধা কম লাগে। যারা ওজন কমাতে চান তাদের খাদ্য তালিকাত পেয়ারা রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।
৪. দৃষ্টিশক্তির জন্য ভালো: ভিটামিন এ চোখের জন্য উপকারী। পেয়ারাতে থাকা ভিটামিন এ চোখের কর্নিয়াকে সুস্থ রাখে এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পেয়ারা রাখার চেষ্টা করুন। কাঁচা পেয়ারা ভিটামিন এ এর ভালো উৎস।
৫. ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে: সুস্বাদু ফল পেয়ারাতে রয়েছে লাইকোপিন, ভিটামিন সি এর মতো বেশকিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান। গবেষকদের মতে, এগুলো শরীরে ক্যানসারের কোষের বৃদ্ধি কমিয়ে থাকে। বিশেষ করে এটি প্রোস্টেট ক্যানসার এবং স্তন ক্যানসার প্রতিরোধ করে।
৬. ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা প্রতিরোধে: ঠাণ্ডাজনিত সমস্যার মধ্যে ব্রংকাইটিস অন্যতম। এই সমস্যা সমাধানে পেয়ারা বেশ কার্যকর। উচ্চ পরিমাণে আয়রন এবং ভিটামিন সি থাকায় এটি শ্লেষ্মা কমিয়ে দিতে পারে। আর কাঁচা পেয়ারা ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা সরাসরি দূর করতে কার্যকর। সূত্র : ইন্ডিয়া টাইমস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।