লাইফস্টাইল ডেস্ক : মাছের ডিম অনেকেরই প্রিয় খাবার। বিশেষ করে ইলিশ মাছের ডিম পছন্দ করেন না এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া কঠিন। এই ডিম খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিগুণেও ভরা। রোগ নিরাময়েও মাছের ডিম কার্যকরী। যদিও অনেকের মনেই প্রশ্ন, মাছের ডিম কি স্বাস্থ্যের জন্য আদৌ ভালো? জানুন মাছের ডিম খাওয়ার ভালো-মন্দ।
কথায় আছে নিয়মিত মাছের ডিম খেলেই বাড়ে বুদ্ধি, সুস্থ থাকে হার্ট। তাই একদম ছোটবেলা থেকেই মাছের ডিম খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে আমাদের।।
পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে, মাছের সব অংশই উপকারী। এমনকি এর ডিম খেলেও মেলে একাধিক লাভ। এতে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন বি১২, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাসের মতো উপকারী উপাদান। তাই মাছের ডিম খেলে রোগভোগের আশঙ্কা কমে।
মাছের ডিমের উপকারিতা
নিয়মিত মাছের ডিম খেলে একাধিক উপকার মেলে।
১. এতে উপস্থিত ডিএইচএ বাচ্চাদের ব্রেন ডেভেলপমেন্টে সাহায্য করে।
২. মাছের ডিমে উপস্থিত ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড হার্ট ও ব্রেনের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে।
৩. এতে রয়েছে অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান যা ক্রনিক অসুখের ফাঁদ থেকে বাঁচাতে পারে।
৪. মাছের ডিম খেলে হাড় ও দাঁত ভালো থাকে।
৫. গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ব্রেস্ট ক্যানসার প্রতিরোধ করতেও সক্ষম মাছের ডিম।
৬. এছাড়া ইমিউনিটি বাড়াতেও মাছের ডিমের কোনও জুড়ি নেই।
মাছের ডিম খাওয়ার অপকারিতা
সব ভালোরই কিছু খারাপ দিকও থাকে। মাছের ডিমও এর অন্যথা নয়। তাই একথা বলতে দ্বিধা নেই যে মাছের ডিম খাওয়ার কারণে কিছু অসুখও পিছু নিতে পারে।
মাছের ডিমে রয়েছে সোডিয়ামের ভাণ্ডার। তাই এই ডিম নিয়মিত খেলে ব্লাড প্রেশার বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। এছাড়া এতে রয়েছে অনেকটা পরিমাণে কোলেস্টেরল। আর সেই কোলেস্টেরল কিন্তু ক্ষতিকর এলডিএল বাড়াতে পারে। ফলে হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
মাছের ডিম কারা খাবেন, কারা খাবেন না
কোনও অসুখ না থাকলে নির্দ্বিধায় মাছের ডিম খাওয়া যায়। এতে তেমন কোনও সমস্যা হওয়ার আশঙ্কাই নেই। তবে কারও ডায়াবেটিস, হাই প্রেশার, কোলেস্টেরল বা হার্টের অসুখ থাকলে অবশ্যই এই খাবার খেতে হবে মেপে। না হলে রোগভোগের আশঙ্কা বাড়তে পারে। তাই এই ধরনের অসুখ থাকলে মেরেকেটে মাসে দুইবার মাছের ডিম খেতে পারেন।
যাদের কোনও অসুখ নেই, তারাও সপ্তাহে দুইবারের বেশি মাছের ডিম খাবেন না। এই নিয়মটা মেনে চললেই সুস্থ থাকতে পারবেন।
যেভাবে খাবেন মাছের ডিম
সাধারণত মাছের ডিম ভালো করে ধুয়ে নিয়ে তারপর তেলে ভেজে রান্না করা হয়। আর এখানেই লুকিয়ে রয়েছে সমস্যার বীজ। তেল চপচপ করে মাছের ডিম ভাজলে এর থেকে তেমন একটা উপকার মেলে না। তাই এক্ষেত্রে কম তেলে মাছের ডিম ভেজে নিতে হবে। আর সেই কাজটা করতে চাইলে ননস্টিক কড়াই ব্যবহার করুন। এই ধরনের কড়াইতে রান্না করলে ভাজার সময় তেল লাগে কম। তাই এই ধরনের পাত্র ব্যবহার করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।