লাইফস্টাইল ডেস্ক : কাঁঠাল খেতে পছন্দ করেন না অনেকে। তবে কাঁঠালের বিচি খেতে ভালোবাসেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। বিকেলে চায়ের সঙ্গে তাওয়ায় ছেঁকা গরম গরম কাঁঠালের বিচি যেমন খেতে অতুলনীয়, তেমনি বিভিন্ন রান্নায়ও এটি যোগ করে বাড়তি স্বাদ। পুষ্টিগুণের দিক থেকেও কাঁঠালের বিচির তুলনা মেলা ভার।
যেসব পুষ্টি উপাদান মেলে কাঁঠালের বিচিতে
হেলথলাইন ওয়েবসাইট বলছে, ২৮ গ্রাম কাঁঠালের বিচিতে পাওয়া যায় ৫৩ ক্যালোরি, ১১ গ্রাম কার্ব, ২ গ্রাম প্রোটিন এবং ০.৫ গ্রাম ফাইবার। এছাড়া প্রতিদিনের চাহিদার ৮ শতাংশ রিবোফ্লাভিন, ৭ শতাংশ থিয়ামিন, ৫ শতাংশ ম্যাগনেসিয়াম ও ৪ শতাংশ ফসফরাসের চাহিদা পূরণ করে ২৮ গ্রাম কাঁঠালের বিচি। প্রচুর পরিমাণে স্টার্চ, আয়রন, প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টি–অক্সিডেন্টেরও উৎস এটি।।
যেসব উপকারিতা মিলবে কাঁঠালের বিচি খেলে
১. এনডিটিভি’র একটি রিপোর্ট বলছে, কাঁঠালের বিচি আয়রনের একটি বড় উৎস। নিয়মিত এটি খেলে রক্তস্বল্পতা ও অন্যান্য রক্তরোগের ঝুঁকি দূর হয়। এছাড়া আয়রন মস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্র সুস্থ ও শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করে।
২. হেলথলাইন ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি আর্টিকেল মতে, কাঁঠালের বিচিতে ব্যাকটেরিয়ারোধী উপাদান রয়েছে। এর উপরিভাগ ছোট ছোট কণা দ্বারা আবৃত থাকে যা ব্যাকটেরিয়ারোধী উপাদান হিসেবে কাজ করে।
৩. কাঁঠালের বিচিতে রয়েছে ভিটামিন এ, যা দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে।
৪. ফাইবার ও রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ সমৃদ্ধ কাঁঠালের বিচি খেলে মাত্রাতিরিক্ত ক্ষুধা নিবারণ করা সহজ হয়। এরা শরীরে সহজে হজম হয় না। কিন্তু অন্ত্রে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়াদের খাদ্য হিসেবে কাজ করে।
৫. রক্তে শর্করার মাত্রা কমায় কাঁঠালের বিচি।
৬. স্টাইলক্রেজ ওয়েবসাইট মতে, কাঁঠালের বিচিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যগুলো ফ্রি র্যাডিকেলের সাথে লড়াই করতে পারে। এতে অকাল বার্ধক্য ও বলিরেখা থেকে দূরে থাকা যায়। ঠান্ডা দুধে কাঁঠালের বিচি পিষে ত্বকে লাগালে ত্বক টানটান থাকে।
৭. কাঁঠালের বিচি রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল) কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ভালো কোলেস্টেরল (এইচডিএল) বাড়ায়।
৮. কাঁঠালের বিচিতে থাকা উচ্চ মানের প্রোটিন আমাদের পেশী তৈরিতে সাহায্য করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।