লাইফস্টাইল ডেস্ক : টক দই খেতে হবে। কারণ টক দইয়ের মধ্যে আলাদা করে চিনি মিশিয়ে দইকে মিষ্টি করা হয়। সুগার মানেই অতিরিক্ত ক্যালোরি। সেখান থেকে ওজন বৃদ্ধি। তা ছাড়া মিষ্টি দইয়ে চিনি ছাড়াও থাকে ঘি। সেটা বরং স্বাস্থ্যের পক্ষে আরও বেশি ক্ষতিকারক। অবশ্য রক্তে টাইগ্রিসারাইডস, শর্করার পরিমাণ ঠিক থাকলে একজন ব্যক্তির মাঝেমধ্যে মিষ্টি খেতে বাধা নেই।
সব ভিটামিন, খনিজ কোনো একটি খাদ্য প্রস্তুতে থাকে না। দইয়েও নেই। ফলে শুধু দই খেয়ে কোনো ব্যক্তি জীবন ধারণ করতে পারে না। কীভাবে দই খাবেন? মূল খাদ্যের সঙ্গে দই রেখে খাওয়া যেতে পারে। অর্থাৎ লাঞ্চ ও ডিনারের শেষে দই থেতে পারেন। এভাবে দৈনিক গড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ মিলিগ্রাম দই খাওয়া যায়। দই খাদ্য হজমে সাহায্য করে। ঘরে পাতা দই সব সময়ই নিরাপদ। তবে পাতা দই নিয়ে কয়েকটি বিষয় জেনে রাখা ভালো। মোটামুটিভাবে রাতে দই পাতবেন, তার পরদিন বিকালের মধ্যে খেয়ে নিতে হবে।
মনে রাখবেন, ২৪ ঘণ্টা পেরোতে শুরু করলেই দইয়ের পুষ্টিগুণ কমতে থাকে। কোনো কোনো সংস্থা আজকাল প্যাকেটজাত দইয়ে শরীরের পক্ষে জরুরি কিছু মিনারেল মিশিয়ে দিচ্ছে। যেগুলো ঘরে পাতা দইয়ে পাওয়া যায় না।
তা সত্ত্বেও বলা যায়, ঘরে পাতা দই খাওয়াই শ্রেয়। তবে ঘরে দই পাতলে ডাবল টোনাড দুধের পাতা ভালো। কারণ ডাবল চোনাড দুধে ফ্যাট অনেক কম থাকে। অযথা ওজন বৃদ্ধি রোধ হয়। কাদের দই খাওয়া একেবারেই উচিত নয়? ক্রনিক কিডনি ডিজিজ এবং ডায়াবেটিসের রোগীরা দই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাবেন না। কারণ দইয়ে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস থাকে। কিডনি ডিজিজের রোগীর পক্ষে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম ক্ষতিকারক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।