বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : ভারতের পরমাণু ফিউশন প্রযুক্তিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে প্রস্তুত বেঙ্গালুরুর স্টার্টআপ ‘প্রানোস’। এই স্টার্টআপের প্রতিষ্ঠাতা শৌর্য কৌশল এবং রোশন জর্জ, যারা ব্যক্তিত্বের দিক থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন হলেও, তাঁদের লক্ষ্য এক—পরমাণু ফিউশন প্রযুক্তির মাধ্যমে ভারতের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানো। ‘প্রানোস’ ভারতের প্রথম দিকের পরমাণু ফিউশন স্টার্টআপগুলির একটি এবং এটি বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধমান পরমাণু ফিউশন প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে চায়।
পরমাণু ফিউশন প্রযুক্তি, যা এখনো আন্তর্জাতিক স্তরে পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে, মানব সভ্যতার বিদ্যুৎ উৎপাদন পদ্ধতিতে বিপ্লব আনতে পারে। চীন এবং ফ্রান্সের সাম্প্রতিক সাফল্য পরমাণু ফিউশন গবেষণাকে নতুন গতি দিয়েছে, এবং প্রানোস সেই পথে নিজেদের দিশা স্থির করছে। চীনের ‘কৃত্রিম সূর্য’ রিঅ্যাক্টর ১০৬৬ সেকেন্ড ধরে পরমাণু ফিউশন বজায় রাখার রেকর্ড করেছে এবং ফ্রান্সের WEST টোকামাক ১৩৭৭ সেকেন্ড ধরে সেই রেকর্ড ভেঙেছে। এই সাফল্যগুলো পরমাণু ফিউশন প্রযুক্তির প্রতি নতুন আগ্রহ তৈরি করেছে।
প্রানোসের প্রতিষ্ঠাতারা বিশ্বাস করেন যে ভারতকেও এই প্রযুক্তির উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। তবে কৌশল এবং জর্জ জানেন যে এই যাত্রা সহজ হবে না। পরমাণু ফিউশন প্রযুক্তি এখনও পরীক্ষামূলক এবং এর উন্নয়ন ও প্রসারে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতেরও অংশগ্রহণ প্রয়োজন।
‘প্রানোস’ ভারতের বিদ্যুৎ উৎপাদনে পরমাণু ফিউশন প্রযুক্তির ব্যবহারকে প্রসারিত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। তাঁদের পরিকল্পনা ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ২৫০০ ক্ষুদ্র মডুলার ফিউশন রিঅ্যাক্টর তৈরি করা, যা একদিনে প্রায় ১ বিলিয়ন ভারতীয় পরিবারের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ করতে পারবে।
তবে বর্তমানে ভারতের পরমাণু নীতিমালায় পরমাণু ফিশন প্রযুক্তির প্রাধান্য রয়েছে এবং পরমাণু ফিউশন প্রযুক্তি এখনও অর্থনৈতিকভাবে কার্যকর নয়। নতুন নীতি ও আইন প্রণয়নের প্রয়োজন রয়েছে যাতে ফিউশন প্রযুক্তির জন্য আলাদা নিয়ন্ত্রক কাঠামো তৈরি হয়।
তবুও, প্রানোসের প্রতিষ্ঠাতারা আশাবাদী এবং তাঁরা এই দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্পে নিজেদের নিয়োজিত রেখেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।