Close Menu
Bangla news
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • অর্থনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • শিক্ষা
  • আরও
    • লাইফস্টাইল
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • বিভাগীয় সংবাদ
    • স্বাস্থ্য
    • অন্যরকম খবর
    • অপরাধ-দুর্নীতি
    • পজিটিভ বাংলাদেশ
    • আইন-আদালত
    • ট্র্যাভেল
    • প্রশ্ন ও উত্তর
    • প্রবাসী খবর
    • আজকের রাশিফল
    • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
    • ইতিহাস
    • ক্যাম্পাস
    • ক্যারিয়ার ভাবনা
    • Jobs
    • লাইফ হ্যাকস
    • জমিজমা সংক্রান্ত
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • অর্থনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • শিক্ষা
  • আরও
    • লাইফস্টাইল
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • বিভাগীয় সংবাদ
    • স্বাস্থ্য
    • অন্যরকম খবর
    • অপরাধ-দুর্নীতি
    • পজিটিভ বাংলাদেশ
    • আইন-আদালত
    • ট্র্যাভেল
    • প্রশ্ন ও উত্তর
    • প্রবাসী খবর
    • আজকের রাশিফল
    • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
    • ইতিহাস
    • ক্যাম্পাস
    • ক্যারিয়ার ভাবনা
    • Jobs
    • লাইফ হ্যাকস
    • জমিজমা সংক্রান্ত
Bangla news
Home বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে হারিয়ে যাওয়া জাহাজ ও প্লেনগুলো কোথায় যাচ্ছে
আন্তর্জাতিক

বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে হারিয়ে যাওয়া জাহাজ ও প্লেনগুলো কোথায় যাচ্ছে

Shamim RezaAugust 31, 20238 Mins Read
Advertisement

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বারমুডা, মিয়ামি ও পুয়েরতো রিকোর বেশ অনেকটা এলাকা নিয়ে একটি ত্রিভুজ কল্পনা করা হয়। মোটামুটি উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের ৫ লাখ বর্গমাইল এলাকা পড়েছে এর সীমানায়। অসংখ্য জাহাজ ও উড়োজাহাজ বারমুডা ট্রায়াঙ্গল নামে পরিচিত এই জায়গা থেকে কোনো চিহ্ন না রেখেই অদৃশ্য হয়ে গেছে। বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের রহস্য সমাধানে মাথা খাটিয়েছেন অনেকেই। কিন্তু সত্যি কি সমাধান হয়েছে রহস্যের?

বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে

৭৮ বছর আগের রোদ্রালোকিত এক দিন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা ঘাঁটি থেকে একটি রুটিন প্রশিক্ষণে অংশ নিতে আকাশে উড়াল দেয় নৌবাহিনীর পাঁচটি উড়োজাহাজ। এটি পরিচিত ছিল ফ্লাইট-১৯ নামে। উড়োজাহাজ কিংবা বৈমানিকদের কারোরই খোঁজ পাওয়া যায়নি আর কখনোই।

আর এভাবেই জন্ম বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের রোমাঞ্চকর গল্পের। বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের সীমানা নিয়ে তর্ক আছে। তবে বেশির ভাগ তত্ত্ব অনুসারে মিয়ামি, বারমুডা ও পুয়েরতো রিকোর মধ্যে পড়া আটলান্টিক মহাসাগরের ত্রিভুজাকার একটি এলাকা নিয়ে এর অবস্থান। কারও কাছেই নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান নেই, তবে গত শতকে কাল্পনিক এই ত্রিভুজের মধ্যে কোনো ধরনের চিহ্ন না রেখেই অদৃশ্য হয়ে গেছে অগণিত জাহাজ ও প্লেন।

যেভাবে বিখ্যাত হলো

এই জায়গাটির অস্বাভাবিবকতার কথা শোনা যাচ্ছিল বহু আগে থেকেই। এই এলাকায় কম্পাসের অদ্ভুত আচরণের ব্যাপারে তাঁর লগ বইয়ে লিখে গেছেন ক্রিস্টোফার কলম্বাসও। তবে ১৯৬৪ সালের আগস্টের আগ পর্যন্ত তাঁর বিখ্যাত নামটি পায়নি এলাকাটি। তখন আরগোসি ম্যাগাজিনে ফ্লাইট-১৯-এর রহস্যময় অন্তর্ধান নিয়ে যে লেখাটি লেখেন, সেখানেই বারমুডা ট্রায়াঙ্গল কথাটি ব্যবহার করেন ভিনসেন্ট গ্যাডিস। তাঁর এই লেখাই বলা চলে আলোচনায় নিয়ে এল বারমুডা ট্রায়াঙ্গল এবং এর রহস্যকে। হারিয়ে যাওয়া বৈমানিকদের ভাগ্যে কী ঘটেছে তার অসংখ্য তত্ত্বই আলোচনায় এল পরের বছরগুলোতে।

এদিকে চার্লস বার্লিকজের মতো লেখকেরাও বারমুডা ট্রায়াঙ্গলকে তাঁদের লেখার মাধ্যমে মানুষের নজরে নিয়ে আসতে ভূমিকা রাখেন ১৯৬০ ও ১৯৭০-এর দশকে।

বাংলাদেশে বারমুডা ট্রায়াঙ্গল জায়গাটিকে পরিচিত করে তুলতে সাহায্য করে সেবা প্রকাশনী থেকে বের হওয়া ‘বারমুডা ট্রায়াঙ্গল’ বইটি। লেখেন শামসুদ্দীন নওয়াব। আমার বারমুডা ট্রায়াঙ্গল নিয়ে আগ্রহের শুরু সেই বই পড়েই। চলুন তবে পাঠক প্রবেশ করি বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের রহস্যময় জগতে।

রহস্যময় সব অন্তর্ধান

ফ্লাইট ১৯-এর উড়োজাহাজগুলো হারিয়ে যাওয়ার আগের অনেক রহস্যময় অন্তর্ধানের ঘটনাও আলোচনায় আসে তারপর। এর একটি হলো এইচএমএস আটালান্টা নামের একটি জাহাজ। বারমুডার রয়্যাল নেভি ডকইয়ার্ড থেকে রওনা দিয়ে যাচ্ছিল ইংল্যান্ডের ফালমাউথে। ১৮৮০ সালের জানুয়ারির শেষ দিন সব ক্রুসহ অদৃশ্য হয় জাহাজটি। কেউ কেউ দাবি করেন, প্রবল ঝড়ে ডুবে গেছে এটি, তবে নিশ্চিত প্রমাণ মেলেনি।

১৯১৮ সালের ৪ মে আরেকটি ঘটনা ঘটে। ইউএসএস সাইক্লপস নামের একটি জাহাজ ম্যাংগানিজ আকরিক নিয়ে বার্বাডোজ দ্বীপ ছাড়ে। ৩০৯ জন নাবিক-কর্মকর্তা নিয়ে এটিও চিরতরে অদৃশ্য হয়। অনেক ধরনের তত্ত্বই খাঁড়া করা হয়। কেউ দোষ দেন ঝড়কে, কেউ শত্রুদের। তবে কারণ যা-ই হোক, বিশাল এক জাহাজ আর এর কয়েক শ যাত্রীর কোনো চিহ্নই পাওয়া যাবে না—এটা কেমন কথা!

এবারের গল্পটা ক্যারল এ. ডিয়ারিং নামের একটি পাঁচ মাস্তুলের স্কুনারের। ১৯২৯ সালের জানুয়ারির ২৯ তারিখ কেপ লুকআউট লাইটহাউস থেকে জাহাজটিকে সাগরের বুক কেটে এগিয়ে যেতে দেখা যায়। এর দুই দিন পরই উত্তর ক্যারোলিনার উপকূলে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় একে। এর ক্রুদের কোনো খোঁজই পাওয়া যায়নি। জাহাজটি ফাঁকা রেখে কোথায় অদৃশ্য হলেন এতগুলো মানুষ।

২৮ ডিসেম্বর, ১৯৪৮। একটি ডগলাস ডি-৩ উড়োজাহাজ পুয়ের্তো রিকোর সান জুয়ান থেকে মিয়ামি যাচ্ছিল। উড়োজাহাজটি কখনোই গন্তব্যে পৌঁছায়নি। প্লেন কিংবা ৩২ জন ক্রুর কোনো খোঁজ মেলেনি আর। এই অন্তর্ধান রহস্যের তদন্ত হলেও কমিটি কোনো সমাধানে পৌঁছার মতো তথ্য পাননি।

বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের আরেক রহস্যের জন্ম ১৯৬৩ সালে। ফ্লোরিডার কি ওয়েস্টের কাছের সাগরে ডুবে যায় এসএস মেরিন সালফার কুইন নামের একটি ট্যাংকার জাহাজ। এ ধরনের জাহাজ তরল গ্যাস, তেল প্রভৃতি পরিবহন করে। জাহাজের কিছু কিছু জিনিস আশপাশের সাগরে ভাসতে দেখা গেলেও এটার ভাগ্যে কী হয়েছে তা যেমন জানা যায়নি, তেমনি খোঁজ মেলেনি এর নাবিকদের।

বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের জলে বা আকাশে হারিয়ে যাওয়া জাহাজ আর উড়োজাহাজের লিস্টিটা আসলেই অনেক লম্বা। তেমনি ওই ঘটনাগুলোর বর্ণনা দিতে থাকলে লেখা শেষ করাটাই মুশকিল হয়ে যাবে।

জাহাজ আর প্লেনগুলো অদৃশ্য হওয়ার কারণ কী

বিশাল সাগর দানো, দৈত্যকার স্কুইড, ভিনগ্রহবাসী, অজানা কিছুর তৈরি করা রহস্যময় তৃতীয় ডাইমেনশনের উপস্থিতি, সাগর থেকে হঠাৎ বিপুল গ্যাস বের হয়ে আসা—এমন নানা তত্ত্বই এসেছে আলোচনায়। তবে যুক্তিবাদী অনেকেই বলছেন, বাস্তবতা অনেক বেশি নিরস। তাঁদের দাবি, কখনো কখনো বৈরী প্রকৃতি, মানুষের ভুল, ত্রুটিপূর্ণ নির্মাণ বা নকশা এমনকি মন্দভাগ্যও অনেক অন্তর্ধানের কারণ।

ইউএস নেভাল হিস্টোরিক্যাল ফাউন্ডেশনের ইতিহাসবিদ জন রেইলি বলেন, ‘ইউরোপীয়দের অভিযাত্রার শুরুর দিক থেকেই এই অঞ্চলে প্রচুর মানুষ ভ্রমণ করেছেন এবং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ এলাকা হয়ে ওঠে। এখানে বেশ কিছু জাহাজ ও উড়োজাহাজ অদৃশ্য হওয়ার যে কথাটা বলা হয়, সেটি নিউ জার্সির টার্নপাইকে ভয়ংকর অনেক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে এমন কিছু বলার মতোই!’

লেফটেন্যান্ট এ এল রাসেল বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের বিষয়ে মার্কিন কোস্ট গার্ডের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় লেখেন, ‘আমাদের অভিজ্ঞতা বলে, প্রাকৃতিক শক্তি ও মানবজাতির অনিশ্চিত আচরণ মিলিয়ে প্রতিবছর বহুবার বিজ্ঞান-কল্পকাহিনির চেয়েও বড় ঘটনার জন্ম দেয়।

ফ্লাইট ১৯-এর অন্তর্ধান

তবে বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের সবচেয়ে বড় রহস্য নিঃসন্দেহে ফ্লাইট ১৯-এর হারিয়ে যাওয়া। ১৯৪৫ সালের ৫ ডিসেম্বর এই ফ্লাইটই বলা চলে বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের কিংবদন্তির জন্মে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে। ফ্লোরিডার ফোর্ট লডারডেলের মার্কিন নেভাল এয়ার স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু হয় ফ্লাইট ১৯-এর। ১৪ জন যাত্রী নিয়ে পাঁচটি টিবিএম অ্যাভেঞ্জার টর্পেডো বম্বারস আকাশে উড়াল দেয় আনুমানিক বেলা ২টা ১০ মিনিটে। ইনস্ট্রাক্টর জেনারেল চার্লস টেইলর নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন।

তখনো উড়োজাহাজ চালনায় জিপিএসের ব্যবহার শুরু হয়নি। সাধারণ হয়ে ওঠার আগের এক যুগে, পরীক্ষামূলক বোমাবর্ষণ শুরুর একটু পরই পথ হারালেন টেইলর দলবলসহ।

তবে এটাকে রহস্যময় ঘটনা মানতে নারাজ অনেকেই। তাঁদের মতে, ১৯৪৫ সালে জলের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়া পাইলটদের কম্পাসের ওপরই ভরসা রাখতে হতো। সেই সঙ্গে কতক্ষণ ধরে একটি নির্দিষ্ট দিকে কি গতিতে উড়ছিল, তাও জানা থাকাটা জরুরি ছিল। টেলরের উড়োজাহাজের দুটি কম্পাসই দৃশ্যত ত্রুটিপূর্ণ ছিল। তদন্তে বেরিয়ে আসে তিনি ঘড়িও পরেননি সেদিন। সমুদ্রের মাঝখানে দিকনির্দেশ করে এমন কিছু ছিল না।

দিনের আলো ঝোড়ো সমুদ্রে অন্ধকারে রূপ নিচ্ছিল যখন, উড়োজাহাজগুলো এলোমেলো উড়ছিল। একপর্যায়ে জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ায় একে একে পাঁচটি উড়োজাহাজই খুব সম্ভব সমুদ্রে ভূপাতিত হয়।

নেভাল হিস্ট্রিকেল সেন্টারের নেভাল অ্যাভিয়েশন হিস্ট্রি শাখার ইতিহাসবিদ মার্ক ইভান্স বলেন, দ্য অ্যাভেঞ্জার একটি অত্যন্ত শক্তপোক্ত ধরনের বিমান হিসেবে পরিচিত ছিল। পাইলটরা কখনো কখনো তাদের ‘আয়রন বার্ডস’ বলে ডাকতেন।

‘ট্যাংকের মতো শক্তিশালী করে বানানো হতো এদের।’ যোগ করেন তিনি, ‘ভয়ানক যুদ্ধ শেষে ফিরে এসে আবার কাজ করত এরা। পাইলটরা এদের পছন্দ করতেন।’

এ ধরনের উড়োজাহাজগুলো খুব ভারী ছিল। ১০ হাজার পাউন্ডের (৪ হাজার ৫৩৫ কেজি) বেশি ছিল খালি অবস্থান। পতনের সময় এরা অত্যন্ত দ্রুত নিচে নেমে যাওয়াটাই ছিল স্বাভাবিক। এ ধরনের ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ সাগরে অবতরণ করলে যে কারও উদ্ধার পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তারপর আবার ঠান্ডা জলে রাতে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ছিল শূন্য। আর এদের ধ্বংসাবশেষ দ্রুত নিচে নেমে যাওয়াটাই স্বাভাবিক।

উড়োজাহাজগুলো নিখোঁজের পর স্থল ও জলের বিপুল এলাকাজুড়ে অনুসন্ধান চালানো হয়। কিন্তু কোনো মৃতদেহ বা ধ্বংসাবশেষ কিছুই পাওয়া যায়নি।

পরিস্থিত আরও ঘোলাটে হয় যখন, উড়োজাহাজগুলোর অনুসন্ধানে বের হয়ে উদ্ধারকারী উড়োজাহাজগুলোর একটি তার ১৩ জন ক্রুসহ চিরতরে হারিয়ে যায়। এটি ছিল একটি পিবিএম মেরিনার উড়োজাহাজ, যার ডাকনাম ছিল ‘উড়ন্ত গ্যাস ট্যাংক’। সামান্যতম বৈদ্যুতিক স্ফুলিঙ্গ কিংবা ম্যাচের কাঠির আগুন বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে এর মধ্যে। ওই এলাকা অতিক্রম করা একটি জাহাজ একটি বিশাল আগুনের গোলা দেখেছে। পাশাপাশি সাগরে তেল ছড়িয়ে থাকার খবরও দেয়। আর এ তথ্য উড়োজাহাজটির ভাগ্যে কী ঘটেছে তার একটা ইঙ্গিত দেয়। ১৯৪৯ সালে এ ধরনের উড়োজাহাজ উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়।

নৌবাহিনীর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ফ্লাইট ১৯ নিখোঁজ হওয়ার জন্য পাইলটের ত্রুটিকে দায়ী করা হয়েছে। তবে টেলরের পরিবার প্রতিবাদ করলে বেশ কয়েকটি পর্যালোচনার পরে রায় পরিবর্তন করে ‘কারণ অজানা’ লেখা হয়।

আটলান্টিকের গোরস্থান

এবার এখানকার রহস্যের আরেকটি যৌক্তিক ব্যাখ্যার দিকে মনোযোগ দেওয়া যাক। বারমুডা ট্রায়াঙ্গল এলাকাটির অস্বাভাবিক একটি বৈশিষ্ট্য আছে। এমনটা চোখে পড়ে কেবল আরেকটি জায়গায়, সেটি জাপানের পূর্ব উপকূলের ডেভিলস সি। এই এলাকা দুটোয় সত্যিকারের উত্তর ও চুম্বকীয় উত্তর মিলিত হয়েছে। এ কারণে কম্পাস এখানে অস্বাভাবিক আচরণ করে।

সাগরতলের সবচেয়ে গভীর খাদগুলোর কয়েকটির অবস্থানও এই বারমুডা ট্রায়াঙ্গল এলাকায়। এখানকার বেশির ভাগ এলাকায় সাগরের গভীরতা ১৯ হাজার ফুটের (৫ হাজার ৭৯১ মিটার) মতো। একেবারে দক্ষিণ অংশে পোয়ের্তো রিকো ট্রেঞ্চের গভীরতা ২৭ হাজার ৫০০ ফুট (৮ হাজার ২২৯ মিটার।)

গুপ্ত শৈলশ্রেণি ও বালুর চড়াও এখানকার সাগরের আরেক বড় বৈশিষ্ট্য। শৈলশ্রেণি বা পাহাড়ের ওপরের শক্তিশালী স্রোত জাহাজ চলাচলে জটিলতা বাড়ায় বলে ধারণা কোস্ট গার্ডদের।

হিসাবে রাখতে হবে আবহাওয়াকেও

ন্যাশনাল ওশানিক অ্যান্ড অ্যাটমোসফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সামুদ্রিক পূর্বাভাস কেন্দ্রের শাখাপ্রধান ডেভ ফেইট বলেন, ‘গালফ স্ট্রিম বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের পশ্চিম প্রান্ত বরাবর ভ্রমণ করে। এটার ভূমিকা থাকতে পারে।’ এখন গালফ স্ট্রিম বিষয়টি কী জেনে নেওয়া যাক। এটি সমুদ্রের মধ্যে একটি ৪০-৫০ মাইল প্রশস্ত নদীর মতো, যা উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে ঘুরছে।

‘যদি সঠিক বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থা থাকে, তবে অপ্রত্যাশিতভাবে উঁচু ঢেউ পেতে পারেন।’ ফেইট বলেন, ‘ঢেউয়ের উচ্চতা বাইরে আট ফুট হলে গালফ স্ট্রিমের মধ্যে এটি দুই এমনকি তিনগুণ বেশি হতে পারে। নাবিকেরা কখনো কখনো এর ওপরের মেঘ ও বজ্রপাত দেখে গালফ স্ট্রিমেকে শনাক্ত করেন।’

কোস্ট গার্ড আরও জানায়, অপ্রত্যাশিত ক্যারিবিয়ান-আটলান্টিক ঝড়গুলো জলস্তম্ভ তৈরি করে, যা প্রায়ই বারমুডা ট্রায়াঙ্গল এলাকায় পাইলট ও নাবিকদের জন্য বিপদের কারণ হয়।

বিকাশে চাকরির বিশাল সুযোগ

তবে এত কিছুর পরও বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের রহস্য পুরোপুরি সমাধান হয়েছে এমন উপসংহারে পৌঁছা মুশকিল। রহস্যপ্রেমীরা বলবেন, বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে হারিয়ে যাওয়া এত জাহাজ, উড়োজাহাজের মধ্যে কয়টির বিষয়ে মোটামুটি যুক্তিসংগত ব্যাখ্যা পাওয়া গেছে? আর একেবারে চিহ্ন না রেখে এগুলো যায়-ই বা কোথায়? তাই মানুষের ভুল, প্রকৃতির বৈরী আচরণের পাশাপাশি দৈত্যকার স্কুইড, ভিনগ্রহের প্রাণীর প্রভাব কিংবা রহস্যময় তৃতীয় ডাইমেনশনের উপস্থিতির বিষয়টিও এখনো আসে তাঁদের ভাবনায়। তাই সবকিছু মিলিয়ে বারমুডা ট্রায়াঙ্গল আজও রয়ে গেছে অমীমাংসিত রহস্যের কাতারে।

সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, হিস্ট্রি ডট কম, উইকিপিডিয়া, মেরিন ইনসাইট ডট কম

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
আন্তর্জাতিক কোথায় জাহাজ ট্রায়াঙ্গলে প্লেনগুলো বারমুডা বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে যাওয়া’ যাচ্ছে হারিয়ে’
Related Posts
৭ কোটি রুপি

কর্ণাটকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তা সেজে ৭ কোটি রুপি লুট

November 21, 2025
শক্তিশালী ভূমিকম্প

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প কোনটি ছিল?

November 21, 2025
Mothers

অতিরিক্ত স্তন্য উৎপাদন, ১০ লিটার দুধ দান করলেন এই ব্রিটিশ মা!

November 21, 2025
Latest News
৭ কোটি রুপি

কর্ণাটকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তা সেজে ৭ কোটি রুপি লুট

শক্তিশালী ভূমিকম্প

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প কোনটি ছিল?

Mothers

অতিরিক্ত স্তন্য উৎপাদন, ১০ লিটার দুধ দান করলেন এই ব্রিটিশ মা!

ফের সহিংসতা

নেপালে ফের সহিংসতা, জেন জি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ওলি সমর্থকদের সংঘর্ষ

১৭৪ বাংলাদেশি আটক

মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের বিশেষ অভিযানে ১৭৪ বাংলাদেশি আটক

বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড

ব্রাজিলের বেলেমে কপ-৩০ ভেন্যুতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে

তিন দিনের সফরে শনিবার ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

তরুণী

৩৫ দিন ঘন জঙ্গলে তরুণী, ইঁদুর খেয়ে কমালেন ১৪ কেজি ওজন

সমুদ্রে কৃত্রিম দ্বীপ পাকিস্তান

যে কারণে সমুদ্রে কৃত্রিম দ্বীপ বানাবে পাকিস্তান

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরাতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রস্তাব গৃহীত

  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • অর্থনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • শিক্ষা
  • আরও
    • লাইফস্টাইল
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • বিভাগীয় সংবাদ
    • স্বাস্থ্য
    • অন্যরকম খবর
    • অপরাধ-দুর্নীতি
    • পজিটিভ বাংলাদেশ
    • আইন-আদালত
    • ট্র্যাভেল
    • প্রশ্ন ও উত্তর
    • প্রবাসী খবর
    • আজকের রাশিফল
    • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
    • ইতিহাস
    • ক্যাম্পাস
    • ক্যারিয়ার ভাবনা
    • Jobs
    • লাইফ হ্যাকস
    • জমিজমা সংক্রান্ত
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.