অ্যা নড্রয়েড এর একটি সুবিধা হচ্ছে আপনি অনেক হ্যান্ডসেট থেকে একটি পছন্দ করতে পারবেন। স্যামসাং, ওয়ানপ্লাস, মটোরোলা, গুগল সহ বিভিন্ন নির্মাতাদের থেকে অ্যান্ড্রয়েড চালিত ফোনগুলি বিভিন্ন আকার এবং দামে আসে। এই ফোনের মধ্যে অনেকগুলি অত্যাধুনিক বৈশিষ্ট্যগুলির সাথে আসে যেমন দ্রুত 5G সংযোগ, প্রাণবন্ত সুপার AMOLED ডিসপ্লে, 120Hz রিফ্রেশ রেট স্ক্রীন, বড় ব্যাটারি এবং একাধিক ক্যামেরা। প্রায় সব ফোনে সাধারণত দুর্দান্ত ক্যামেরা, স্ক্রিন, ব্যাটারি লাইফ বা উপরের বৈশিষ্ট্য থাকে। আমরা 5G এবং ওয়্যারলেস চার্জিংয়ের মতো বৈশিষ্ট্যগুলিও বিবেচনা করেছি। সেরা অ্যান্ড্রয়েড ফোন কীভাবে বাছাই করবেন এ ব্যাপারে আমরা সহায়তা করব।
১. Samsung Galaxy S22 Ultra
ইতিবাচক দিক:
- স্টাইলাস পেন সাথে সংযুক্ত আছে
- অন্ধকারে ভালো ছবি তুলতে পারে
- নিজস্ব ডিজাইন
নেতিবাচক দিক:
• ব্যয়বহুল
• ক্যামেরাগুলি বেশিরভাগ Galaxy S21 Ultra-এর মতোই
• ব্যাটারি লাইফ S21 Ultra এর মতো দীর্ঘ নয়
১২০০ ডলারের Galaxy S22 Ultra হল সবচেয়ে ব্যয়বহুল অ্যান্ড্রয়েড ফোনগুলির মধ্যে একটি। এটিতে একটি বিশাল 6.8-ইঞ্চি ডিসপ্লে, একটি এস পেন স্টাইলাস আছে যা আপনি ফোনের ভিতরে সংরক্ষণ করতে পারেন। স্যামসাং তার সমস্ত নতুন গ্যালাক্সি ফোনগুলি কম আলোতে ফটো তোলার সিস্টেমকে উন্নত করেছে, যা বিশেষ করে আল্ট্রার মতো ফটোগ্রাফি-ভিত্তিক ফোনে গুরুত্বপূর্ণ।
S22 Ultra এর আকাশচুম্বী দাম এবং অপেক্ষাকৃত কম ব্যাটারি লাইফ তার নেতিবাচক দিক। তবুও, Galaxy S22 Ultra তাদের জন্য আদর্শ হবে যারা বড় আকারের ফোন ও ভালো ক্যামেরা খুঁজছেন।
২. Samsung Galaxy S22 Plus
ইতিবাচক দিক:
• উজ্জ্বল পর্দা
• পর্দার আকার ঠিকাছে এবং হাতে খুব স্বস্তিদায়ক
• উন্নত রঙ এবং ভাল ক্যামেরা
• আকর্ষণীয় ডিজাইন
নেতিবাচক দিক:
• ব্যয়বহুল
• ব্যাটারি লাইফ আইফোন 13 প্রো-এর মতো দীর্ঘ নয়
• কোন নতুন বিল্ট-ইন ক্যামেরা মোড নেই
• দ্রুত চার্জ করার জন্য একটি বিশেষ অ্যাডাপ্টারের প্রয়োজন
১০০০ ডলারের Galaxy S22 Plus-এর সাইজ, পারফরম্যান্স এবং ক্যামেরা পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে ভারসাম্য রাখা রয়েছে। ৬.৬-ইঞ্চি স্ক্রিন তাদের জন্য যথেষ্ট যারা বড় আকারের ফোন পছন্দ করেন। এটি অনেক ব্যয়বহুল। ক্যামেরাতে আরও উন্নতি দরকার ছিলো। ব্যাটারি লাইফ মাঝারি ধরনের।
৩. Google Pixel 6 Pro
ইতিবাচক দিক:
• চমৎকার ক্যামেরা
• কর্মক্ষমতা প্রশংসনীয়
• নতুন Android 12 ইন্টারফেস
• আকর্ষণীয় ডিজাইন
নেতিবাচক দিক:
• ব্যাটারি ভাল, কিন্তু দুর্দান্ত নয়
• দ্রুত চার্জ সিস্টেম থাকা উচিত ছিলো
• কোন ফেস আনলক নেই
গুগল কয়েক বছর ধরে ফ্ল্যাগশিপ সেগমেন্টের বাইরে থেকেছে এবং মেশিন লার্নিং এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় বিশেষায়িত নিজস্ব চিপ তৈরিতে সময় ব্যয় করেছে। Pixel 6 Pro ফটোগ্রাফি দক্ষতা প্রশ্নংসনীয়।
Google অনেক ব্যয়বহুল হওয়ায় তার প্রতিদ্বন্দী কম। এটি একটি 6.7-ইঞ্চি স্ক্রিন সহ একটি বড় ফোন, যা এর 3,120×1,440-পিক্সেল রেজোলিউশন রয়েছে। এটির একটি অভিযোজিত রিফ্রেশ রেট রয়েছে যা আপনি যখন দ্রুত-গতির গেম খেলছেন তখন 120Hz পর্যন্ত যেতে পারে, কিন্তু যখন ফোনটি মূলত নিষ্ক্রিয় থাকে তখন এটি শুধুমাত্র 10Hz-এ ধীর হয়ে যায়। 5,003-mAh ব্যাটারি পুরো ১ দিন ভালোভাবে কভার করে।
৪. Google Pixel 6
ইতিবাচক দিক:
• ডিজাইন সেরা
• দাম অনুপাতে ঠিকাছে
• ক্যামেরা গুগুলের সেরা
নেতিবাচক দিক:
• আন্ডার ডিসপ্লে ফিংগারপ্রিন্ট এর অবস্থা সবিধার নয়
• ব্যাটারি লাইফ প্রশংসনীয় নয়
• ultrawide পারফরম্যান্স এ ঘাটতি আছে
আপনি যদি একটি বড় স্ক্রীন, ফ্ল্যাগশিপ পারফরম্যান্স, বাজারের সেরা কিছু ক্যামেরাফোন চান তাহলে Google-এর Pixel 6 হল আদর্শ স্মার্টফোন। গুগল তার ওএস ডিজাইন উন্নত করেছে এবং নিরাপত্তা বৃদ্ধি করেছে।
Pixel 6 এর একটি 6.4-ইঞ্চি, 1080p স্ক্রিন রয়েছে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে 60Hz থেকে 90Hz এ স্যুইচ করতে পারে। তবে, ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরটি ধীরে কাজ করে। ৬০০ ডলারে এই ফোন বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
বাজার কাঁপাতে আসছে ইনফিনিক্সের সস্তা ফ্ল্যাগশিপ অ্যামোলেড ডিসপ্লের ফোন
৫. Samsung Galaxy S22
ইতিবাচক দিক:
• কম আলোর ফটোগ্রাফির সাথে উন্নত ক্যামেরা
• মার্জিত নকশা
• যারা ছোট ফোন পছন্দ করেন তাদের জন্য দারুণ
নেতিবাচক দিক:
• ব্যাটারি লাইফ প্রশংসনীয় নয়
একটি ছোট আকারের অ্যান্ড্রয়েড ফোন খুঁজে পাওয়া আজকাল কোন সহজ কাজ নয়। বেশিরভাগ ফোনে কমপক্ষে 6.4 ইঞ্চি বা তার চেয়ে বড় স্ক্রীন থাকে। Galaxy S22 Plus সম্পর্কে আমাদের পছন্দের সবকিছুই এতে রয়েছে, একটি নজরকাড়া ডিজাইন, একটি 50-মেগাপিক্সেল ক্যামেরার প্রধান লেন্স এবং একটি চমৎকার ক্যামেরা সিস্টেম।
তবে ব্যাটারি লাইফে ঘাটতি রয়েছে। Galaxy S22 অন্যথায় যেকোন অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীর জন্য একটি চমৎকার পছন্দ, বিশেষ করে যারা একটি ছোট আকারের ফোন খুঁজছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।