আন্তর্জাতিক ডেস্ক : একজন মেয়ের জীবনে সন্তানের আগমন অন্যতম সুখের ঘটনা৷ আর এই সময় প্রিয় বন্ধুরা পাশে থাকলে মন আরও ভাল হয়ে যায়৷ কিন্তু সেই প্রিয় বন্ধুই যদি এই সুখের সময়ে পিছন থেকে ছুরি মারে? তাহলে? প্রিয় বন্ধুই ছুরি মেরেছে৷ পিছন থেকে নয়, একেবারে সামনে থেকে৷
সম্প্রতি এমনই এক মর্মান্তিক খুনের ঘটনা সামনে এসেছে৷ যেখানে এক মহিলা তাঁর গর্ভবতী বন্ধুকে খুন করে তাঁর পেট থেকে শিশুটিকে ছিঁড়ে বের করে ফেলেছেন৷ শিউরে ওঠার মতো এই খুনের ঘটনাটি ২০২০ সালে ব্রাজিলে ঘটেছিল৷
২৪ বছর বয়সী ফ্লাভিয়া গোডিনহো আর ২৭ বছর বয়সী রোজালবা মারিয়া গ্রিম ছিলেন বন্ধু৷ মৃৎশিল্পের কাজ হয় এমন একটি জায়গায় ফ্লাভিয়াকে নৃশংস ভাবে খুন করেছিলেন রোজালবা।
আরও পড়ুন: বিশ্বের শুষ্কতম মরু চিলির আটাকামায় রংবাহারি ফুলের মেলা, দেখুন প্রকৃতির বিস্ময়ের ছবি
জানা গিয়েছে, প্রথমে ফ্লাভিয়ার মাথায় বেশ কয়েকবার ইট দিয়ে আঘাত করেন রোজালবা৷ এরপর একটি ধারালো ছুরি ব্যবহার করে ফ্ল্যাভিয়ার পেট কেটে বাচ্চাটিকে বের করে ফেলেন৷ প্রবল রক্তক্ষরণের ফলে মারা যান ফ্লাভিয়া৷ ঘটনার সময় তিনি ৩৬ সপ্তাহের গর্ভবতী ছিলেন৷ মারা যাওয়ার পরে বান্ধবীর লাশ একটি ভাটিতে লুকিয়ে রাখেন রোজালবা৷
অপরাধ করার পর রোজালবা তাঁর সঙ্গীর কাছে চলে যান৷ তিনি শিশুটিকে নিজের মনে করে হাসপাতালে নিয়ে যান৷ সেখানে ডাক্তাররা তাঁর আচরণ দেখে সন্দীহান হন। এরপরই চিকিৎসকরা পুলিশে খবর দেন এবং তাঁর সঙ্গী-সহ রোজালবাকে গ্রেফতার করা হয়৷ তবে ২৭ জুলাই, ২০২১ রোজালবার সঙ্গী ছাড়া পেয়ে যান৷
কিন্তু কেন এমন ভয়ঙ্কর কাজ করলেন রোজালবা? অপরাধের কারণটিও মারাত্মক৷ রোজালবার দাবি, তিনি মৃত মহিলার গর্ভ থেকে অনাগত শিশুকে বের করার বিষয়ে গবেষণা করেছিলেন৷
এমনকী তিনি প্রসবের সময় গর্ভাবস্থার লক্ষণগুলি কীভাবে অনুকরণ করতে হয় তাও শিখেছিলেন৷ ১৫ ঘন্টা ধরে বিচার হয়েছিল রোজালবার৷ যেখানে তিনি আদালতকে বর্ণনা দেন এই ভয়ঙ্কর অপরাধ ও সেটির পরিকল্পনা৷
তাঁকে গুরুতর হত্যা, একটি শিশুকে হত্যার চেষ্টা, একটি মৃতদেহ গোপন করা এবং একটি নবজাতকের অধিকার কেড়ে নেওয়ার মতো একাধিক অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল৷
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।