আপনি উইন্ডোজ ব্যবহারে অভ্যস্ত অথবা একজন ম্যাকবুক লাভার বা ক্রয় করার জন্য পোর্টেবল ওয়ার্কস্টেশন খুঁজছেন। ডিসপ্লের বৈশিষ্ট্যসমূহ আপনার পছন্দমতো হচ্ছে কিনা বা কাজের সুবিধার্থে পর্যাপ্ত পোর্ট আছে কিনা অথবা এটি কি ১০৮০পি বা তার থেকেও রেজুলেশনে গেমিং করতে সক্ষম কিনা। ল্যাপটপ বা ম্যাকবুক ক্রয় করার সময় ক্রেতারা এ বিষয়সমূহ মাথায় রাখেন। ২০২২ সালে আপনার কী ধরনের ল্যাপটপ সন্ধান করা উচিত তা ধারাবাহিকিভাবে এ নিউজে পরিষ্কার করা হবে। আজ রয়েছে ১ম পর্ব।
উইন্ডোজ 11 এবং ক্রোম ওএস এখন অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। তবে অ্যাপল তার ম্যাক বুকগুলিকে বেশকিছু ফিচার সীমাবদ্ধ করে ফেলেছে। ফলে উইন্ডোজ ও ক্রোম ওএস এর অনেক ফিচার ম্যাকবুকে থাকবে না। আপনি পোর্টেবল ওয়ার্কস্টেশন ক্রয় করতে চাইলে ব্র্যান্ডগুলি পরীক্ষা করে দেখতেই হবে। ব্র্যান্ড ও মডেল ভেদে ফিচারে বেশ তফাত আছে।
উইন্ডোজ-ভিত্তিক ল্যাপটপ অ্যাপল থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি বিভাগ। মুষ্টিমেয় কিছু ব্র্যান্ড উইন্ডোজ-ভিত্তিক ল্যাপটপ তৈরি করে এবং আপনি যে ব্র্যান্ড নির্বাচন করবেন তার উপর নির্ভর করে তার গুণমান এবং ফিচার। ভালো প্রসেরর থাকলে অনেক মডেল এক্সিকিউশনের ক্ষেত্রে ম্যাককে ছাড়িয়ে যাবে এবং অনেক কোম্পানি বিশেষ কারণে উইন্ডোজ পিসিগুলিকে গেমিং বা ব্যবসার জন্য তৈরি করে। উইন্ডোজ পিসি বিভিন্ন আকারের হতে পারে।
কীবোর্ড-মাউস ইন্টারফেস সহ একটি স্ট্যান্ডার্ড পোর্টেবল ওয়ার্কস্টেশন আপনার কাজের ক্ষেত্রে বেশ সুবিধা হবে। উইন্ডোজ ভিত্তিক টাচস্ক্রিন পোর্টেবল ওয়ার্কস্টেশনগুলি সহনীয় দামে পাওয়া যাবে যা আপনি অ্যাপল ম্যাকবুকে দেখতে পাবেন না।
অ্যাপলের হার্ডওয়্যারের সীমিত লাইনআপের বিপরীতে, উইন্ডোজ ল্যাপটপ ফিচারে ঠাসা ও ক্রেতাদের কাছে জনপ্রিয়। আপনি লেনোভো, ডেল, আসুস সহ মাইক্রোসফ্টের নিজস্ব ডিভাইসগুলি এখন বাজারে ক্রেতাদের চাহিদা মেটাচ্ছে। উইন্ডোজ-ভিত্তিক ডিভাইসে অনেক বিকল্প রয়েছে যা অ্যাপলে নেই।
অ্যাপল সর্বদা তার ডিভাইসে কঠোর প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা অনুসরণ করে। ছোট ছোট ব্যাচ হিসেবে বাজারে আইটেম বিক্রি করে। যে কোম্পানি অ্যাপলের ডিভাইস নির্মাণ করুক না কেনো একই ইকোসিস্টেম তারা অনুরসণ করে। তাছাড়া যেকোনো নির্মাতা কাস্টম স্পেসিফিকেশন সহ একটি উইন্ডোজ বা ক্রোম ওএস-ভিত্তিক ল্যাপটপ তৈরি করতে পারে। ফলস্বরূপ, ম্যাকগুলি ব্যবহার করা এবং মেইনটেইন করা অত্যন্ত সহজ। যেহেতু তারা একই ইকোসিস্টেমের অংশ তাছাড়া যেকোন সমস্যা সমাধানে অ্যাপলের কাস্টোমার সার্ভিস খুবই সহায়ক।
ম্যাকের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে একটি হল এর চমৎকার ডিজাইন। এগুলিকে চমৎকার দেখাতে, মনোমুগ্ধকর বোধ করার জন্য এবং প্রোটেকটিভ স্ক্রিন থাকার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যার ফলে অনেক উইন্ডোজ এবং ক্রোম ওএস প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় তারা যথেষ্ট এগিয়ে আছে। তবে দাম বেশি চওড়া হওয়ার কারণে অ্যাপলের পণ্য সবার সাধ্যের মধ্যে থাকে না।
ম্যাকগুলি দ্রুতগতির প্রযুক্তি ব্যবহার করে, তবে উইন্ডোজ-ভিত্তিক পিসিগুলিতে খুব কমই সবচেয়ে শক্তিশালী গ্রাফিক্স চিপ পাওয়া যায় এবং বেশ কিছু হার্ডওয়ার আপগ্রেড করা প্রায় কঠিন। যারা একটি নির্ভরযোগ্য ল্যাপটপ চান কিন্তু হার্ডওয়্যার সম্পর্কে অনেক কিছু জানেন না তারা নিশ্চিত থাকতে পারেন যে ম্যাকবুক সাধারণ পরিস্থিতিতে প্রশংসনীয়ভাবে কাজ করবে। এই মুহূর্তে ম্যাক বুক প্রো সৃজনশীল পেশাদারদের জন্য জনপ্রিয় দ্রুত গতির ল্যাপটপ।
অ্যাপল এর ম্যাকওএস ব্যবহার করা সহজ। উইন্ডোজের বিপরীতে, প্ল্যাটফর্মটি অফিস এবং মিডিয়া-সম্পাদনা অ্যাপ্লিকেশনগুলির একটি প্যাকেজ নিয়ে আসে, যার প্রত্যেকটি তার উদ্দেশ্যমূলক ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে ডিজাইনার এবং ফটোগ্রাফাররা অ্যাপলকে পছন্দ করেন। যদিও মাইক্রোসফ্টের স্টুডিও এ ধরনের কাজ করতে সক্ষম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।