জুমবাংলা ডেস্ক : রাজশাহীতে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে পান চাষ। বর্তমানে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে পান চাষিরা ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে। এই অঞ্চলের অনেক গ্রামের অধিকাংশ কৃষকের জীবন-জীবিকার প্রধান উৎস হয়ে উঠেছে এই পান চাষ।
জানা যায়, রাজশাহীর মোহনপুর, বাগমারা, দুর্গাপুর, পুঠিয়া ও পবার মতো কয়েকটি উপজেলায় পান ও সুপারি চাষ হচ্ছে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় এর চাষ বেশি লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা পানের বরজ তৈরী করে চাষ করছেন। এতে স্থানীয় বাজারে বিক্রির পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলার পাইকারদের কাছে জমি থেকেই সরাসরি বিক্রি করে থাকেন।
দুর্গাপুর উপজেলার বখতিয়ারপুর গ্রামের কৃষক মুক্তার হোসেন বলেন, আমাদের এখানে মিষ্টি ও সাঁচি এই দুই ধরনের পান বেশি চাষ করা হয়। আর স্থানীয় ও আশেপাশের কয়েকটি উপজেলায় এখানাকার পানের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
মোহনপুর উপজেলার আরেক কৃষক মকবুল হোসেন বলেন, আমি ২১ বছর যাবত পানের চাষ করছি। অন্যান্য ফসলের তুলনায় এর চাষে লাভ বেশি। আর একবার পানের বরজ তৈরী করলে তা থেকে অনেক বছর পানপাতা সংগ্রহ করা যায়। পানের চাষ করে আমি স্বাবলম্বী হতে পেরেছি।
বাগমারা উপজেলার চান্দাপুর গ্রামের কৃষক আমিনুল ইসলাম বলেন, আগে আমাদের মাত্র একটি বাগান ছিল। এখন ১২ বিঘা জমিতে পানের চাষ করছি। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ও পান গাছের যত্ন করে এমন সফলতা পেয়েছি।
কৃষক আবদুল হামিদ বলেন, আমাদের উৎপাতিদ পানের পাতা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ হয়ে থাকে। এছাড়াও এখানকার পানপাতা মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশেও রপ্তানি করা হয়। বিশেষ করে সৌদি আরবে বেশি চাহিদা রয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের (ডিএই) উপ-পরিচালক মোজদার হোসেন বলেন, রাজশাহী জেলার মাটি ও আবহাওয়া পান ও সুপারি চাষের খুবই উপযোগী। এই জেলার বিভিন্ন উপজেলাগুলো মধ্যে সবচেয়ে বেশি পানের উৎপাদন হয় মোহনপুরে। চলতি বছর ৪ হাজার ৪৯৬ হেক্টর জমিতে পান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়। এতে প্রায় ৩৮ হাজার ৯০০ কৃষক জড়িত। গত বছর ৭৩ হাজার ৭৭১ টন ফলন পাওয়া গেছে। এবছর ৭৬ হাজার ৬৭৮ মেট্রিক টন ফলনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে যার বর্তমানে বাজার মূল্য ৬২৩.৮২ কোটি টাকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।