আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জেফরি প্রেস্টন বেজোস বা জেফ বেজোস একজন আমেরিকান শিল্পপতি, মিডিয়া স্বত্বাধিকারী, ইন্টারনেট উদ্যোক্তা এবংবিনিয়োগকারী. তিনি সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি কোম্পানি অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা, সিইও এবং প্রেসিডেন্ট। জেফ বেজোস ব্লু অরিজিন, একটি মহাকাশ সংস্থা এবং ওয়াশিংটন পোস্টেরও মালিক। জেফ বেজোসের মেগা সাম্রাজ্য একদিনে তৈরি হয়নি। জেফ বেজোস ১৯৯৪ সালে সিয়াটলে তার গ্যারেজে অ্যামাজন প্রতিষ্ঠা করেন। তার বিনিয়োগ এবং কৌশল তাকে আজ যেখানে সেখানে পৌঁছে দিয়েছে। তার প্রধান বিনিয়োগগুলি আমাজন, ন্যাশ হোল্ডিংস এবং বেজোস অভিযানের মাধ্যমে আসে।
১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে জেফ বেজোসের ভাই ও বোন মার্ক এবং ক্রিস্টিনা এরকম অনিশ্চিত বিনিয়োগ করেই কোটিপতি বনে গেছেন। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন বলছে, তারা দুজনই ১০ হাজার ডলার দিয়ে আমাজন ডনকম ইনক.-এর ৩০ হাজার শেয়ার কিনেছিলেন। সেই বিনিয়োগ এতটাই লাভের মুখ দেখেছে যে দুই ভাইবোন এখন ১০০ কোটি ডলারের মালিক। লাক্সারি লঞ্চেজের একটি নিবন্ধে বলা হয় (যেটি ব্লুমবার্গের ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই-এর একটি রিপোর্ট থেকে করা), জেফ বেজোসের ভাই ও বোনের কেনা শেয়ারগুলোর মূল্য তখন ছিল ৬৪ কোটি ডলার যেটি আমাজনের তখনকার ৯১ ডলারের ‘স্টক ক্লোজিং প্রাইস’-এর উপর ভিত্তি করে হয়েছিল। বর্তমানে আমাজনের ‘স্টক ক্লোজিং প্রাইজ’ ১৪৯ ডলার হয়ে যাওয়াতে তাদের অংশের বর্তমান মূল্য দাঁড়িয়েছে ১০৪.৪ কোটি ডলার।
১৯৯৪ সালে বেজোস ৬০টির মতো মিটিং করেছিলেন তার পরিবারের সদস্য, বন্ধু ও সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে, তাদেরকে দিয়ে তার অনলাইন বইয়ের দোকানে বিনিয়োগ করানোর জন্য। যে ৬০ জনের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেছিলেন, তাদের মধ্যে ৩৮ জন বিনিয়োগ করতে রাজি হননি। কয়েক বছর পর বেজোস বলেছিলেন, পরে ওই বিনিয়োগে রাজি না হওয়া অনেকে আফসোস করেছিলেন। বেজোস ভাইবোনদের আমাজনে বিনিয়োগের ঘটনা আর্থিক লাভের গল্পের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি নতুন ব্যবসার মাধ্যমেও কীভাবে সাফল্য অর্জন করা যায়, তার একটি বড় উদাহরণ। তাদের সাফল্য মনে করিয়ে দেয় যে নতুন ব্যবসায় বিনিয়োগ করা ঝুঁকিপূর্ণ হলেও এর ফলাফল হতে পারে অসাধারণ।
সূত্র: ইয়াহু ফিন্যান্স।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।