বিনোদন ডেস্ক : সুন্দরীদের আখড়া হিন্দি সিনেমার জগৎ বলিউড। তাদের মধ্যে অনেক সুন্দরী অভিনেত্রী রয়েছেন যারা অভিনয়ের জোরে অনেক কিছু অর্জন করেছেন। কেউ কেউ উচ্চতা ছুঁয়েছেন, আবার কেউ কেউ এখনো উচ্চতার শিখরে রয়েছেন।
এই অভিনেত্রীদের মধ্যে কয়েকজন আবার এমনও ছিলেন বা আছেন, যারা জীবনে ভালোবাসার সন্ধানে সামাজিক সীমারেখা পার করেছেন। কারও কারণে ঘর ভেঙেছে, কারও জন্য পরিবার ভেঙেছে, এমনকি সম্পর্কও ছিন্ন হয়েছে। অর্থাৎ, তারা বিবাহিত পুরুষের প্রেমে পড়েছেন।
কাল্কি কোয়েচলিন
২০০৯ সালে পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান অভিনেত্রী কাল্কি কোয়েচলিন। সেই সময় আরতি বাজাজের সঙ্গে বিবাহিত ছিলেন অনুরাগ। তাদের এক কন্যাসন্তানও আছে। এরপরই কাল্কিকে বিয়ে করেন অনুরাগ। তবে সেই বিয়ে বেশিদিন টেকেনি।
রিনা রায়
একসময়ের সুপারস্টার অভিনেতা এবং বর্তমানের রাজনীতিক শত্রুঘ্ন সিনহার সঙ্গে অভিনেত্রী রিনা রায়ের সম্পর্ক বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। সেই সময় পুনম সিনহার সঙ্গে বিবাহিত ছিলেন শত্রুঘ্ন। তাদের তিন সন্তানও আছে। বিবাহিত শত্রুঘ্নকে মন দিয়ে বসেছিলেন রিনা রায়। টেকেনি সে সম্পর্ক। পুনমের সঙ্গেই সংসার করছেন শত্রুঘ্ন।
জিনাত আমান
বিবাহিত সঞ্জয় খানের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী জিনাত আমন। জারিন খানের সঙ্গে বিবাহিত জীবন সত্ত্বেও সঞ্জয় জিনাতের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। তাদের সম্পর্ক নিয়ে প্রচুর চর্চাও হয়েছিল। পরে ভেঙে যায় সঞ্জয়-জিনাতের সম্পর্ক।
কঙ্গনা রানাওয়াত
‘কাইটস’-এর সহ-অভিনেতা হৃত্বিক রোশনের প্রেমে পড়েছিলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। সেই সময় সুজান খানের সঙ্গে বিবাহিত ছিলেন হৃত্বিক। ২০১৪ সালে স্ত্রী সুজান খানের থেকে আলাদা হয়ে যান হৃত্বিক। গুঞ্জন রটেছিল, কঙ্গনাকে বিয়ে করার জন্যই নাকি সুজানকে ডিভোর্স দিয়েছিলেন অভিনেতা। পরে চিত্র পাল্টে যায়। হৃত্বিক-কঙ্গনার সম্পর্ক হয়ে যায় দা-কুমড়ার। বর্তমানে অভিনেত্রী-গায়িকা সাবা আজাদের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন হৃত্বিক। কঙ্গনা রয়েছেন একাই।
হেমা মালিনী
বলিউডের ‘ড্রিম গার্ল’ হেমা মালিনীর গায়ে রয়েছে ‘ঘর ভাঙানি’র তকমা। বিবাহিত ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। সিনেমার সেটে প্রেমে পড়েছিলেন দুজনে। প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌরের সঙ্গে ধর্মেন্দ্রর চার সন্তান রয়েছেন। বিচ্ছেদের পরই হেমা মাহিনীকে বিয়ে করেন ধর্মেন্দ্র।
শ্রীদেবী
পরিচালক বনি কাপুরের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে লাইমলাইটে আসেন অভিনেত্রী শ্রীদেবী। প্রথম স্ত্রী মোনা কাপুরের সুখী বিবাহিত জীবন ছিল বনি কাপুরের। এরপরই মোনার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ করে শ্রীদেবীকে বিয়ে করেন পরিচালক। তবে বনির দুই স্ত্রীই এখন প্রয়াত।
শাবানা আজমি
শাবানা আজমি লেখিকা এবং বলিউডের বিখ্যাত অভিনেত্রী। ১৯৮৪ সালে তিনি বিবাহিত জাভেদ আখতারকে সঙ্গে বিয়ে করেছিলেন। যিনি বলিউডের কিংবদন্তি একজন গীতিকার এবং কবি। তাকে বিয়ের পরই শাবানা আজমির গায়ে জুটেছিল ‘ঘর ভাঙানি’র তকমা।
স্মিতা পাটিল
বিবাহিত অভিনেতা রাজ বব্বরের প্রেমে পড়েছিলেন অভিনেত্রী স্মিতা পাটিল। এরপর স্ত্রী নাদিরা বব্বরকে ডিভোর্স না দিয়ে লুকিয়ে স্মিতাকে বিয়ে করার জন্য পালিয়ে গিয়েছিলেন রাজ বব্বর।
রেখা
বলিউডে ৮০-র দশকে বিবাহিত অমিতাভ বচ্চনের প্রেমে পড়েছিলেন রেখা। অমিতাভ এবং তার স্ত্রী জয়া বচ্চনের বিবাহিত জীবনে রেখার নামে রয়েছে ‘ঘর ভাঙানি’র ট্যাগ। সম্পর্ক শেষ হলেও বিশ্বের কাছে তার ভালোবাসা প্রকাশ করা বন্ধ করেননি রেখা।
তবে তালিকা এখানেই শেষ নয়, বরং আরও দীর্ঘ। ভালোবেসে বিবাহিত সাইফ আলি খানকে বিয়ে করেছেন অভিনেত্রী কারিনা কাপুর। ‘ডন’ ছবিতে কাজ করতে গিয়ে বিবাহিত শাহরুখ খানের প্রেমে পড়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তাদের প্রেম নিয়ে ব্যাপক চর্চা হয়েছে।
ছবিটি জুম করে দেখুন বাথরুমের মধ্যে একটি ভুল রয়েছে, জিনিয়াসরাই খুঁজে পাবেন
এছাড়া ‘দঙ্গল’ কন্যা ফাতেমা সানা শেখ মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খানের প্রেমে পড়েছিলেন বলে গুঞ্জন আছে। যখন কিনা আমির খান কিরণ রাওয়ের সঙ্গে সংসার করছিলেন। এছাড়া একসময় রানি মুখার্জী প্রেমে পড়েছিলেন বিবাহিত গোবিন্দর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।