বিনোদন ডেস্ক : ২ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে ‘ফ্যাবুলাস লাইভস অব বলিউড ওয়াইভস’ সিরিজের দ্বিতীয় পর্ব। এই সিরিজেই অভিনেতা সঞ্জয় কপূরের স্ত্রী মাহীপ কপূর জানিয়েছেন তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের কথা। সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি জানান, সঞ্জয় নাকি বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। মাহীপের মুখে এই কথা শোনার পর টিনসেল নগরীতে নতুন চর্চা শুরু হয়েছে। তবে সঞ্জয়ই প্রথম নন। এর আগেও বলিউডের বহু বলি তারকা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন।
বলিউডের ‘গ্রিক গড’ হৃতিক ২০০০ সালে সুজান খানকে বিয়ে করেন। বিয়ের ১০ বছর পর হৃতিক অভিনীত ‘কাইটস’ ছবিটি মুক্তি পায়। কানাঘুষো শোনা যায়, সেই ছবির অভিনেত্রী বারবারা মোরির সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন হৃতিক।
হৃতিক ও বারবারার সম্পর্ক এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল যে সুজান বাড়ি ছেড়ে নিজের বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে অভিনেতা এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এলেও এই ঘটনার চার বছর পর হৃতিক ও সুজানের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। তবে, কী কারণে তাঁদের এই বিচ্ছেদ সেই প্রসঙ্গে কেউই কিছু জানাননি।
এক সময় বলিপাড়ায় চর্চা ছিল, সইফ আলি খানের আগ্রহ সেই সব মহিলাদের প্রতি থাকত যাঁরা তাঁর থেকে বয়সে বড়। মুনমুন সেন, অণু অগ্রবাল— যাঁদের সঙ্গেই তিনি সম্পর্কে জড়িয়েছেন, সকলেই তাঁর থেকে বয়সে বড়। ১৯৯১ সালে অভিনেত্রী অমৃতা সিংহের সঙ্গে বিয়ে করেন তিনি।
বিয়ের পর ইটালির রোসা ক্যাটালানো নামের এক মডেলের সঙ্গে আলাপ হয় সইফের। রোসা ও সইফের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক তাঁর ১৪ বছরের সাংসারিক জীবনে ইতি টানে। ২০১২ সালে করিনা কপূরকে বিয়ে করেন অভিনেতা।
‘হদ কর দি আপনে’ ছবির শ্যুটিংয়ের সেটে গোবিন্দর সঙ্গে আলাপ হয় রানি মুখোপাধ্যায়ের। তখন বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে রানি একেবারেই নতুন। ঘটনাচক্রে, অভিনেতার সঙ্গে রানির বন্ধুত্ব বাড়তে থাকে। পরিচালকদের কাছে গোবিন্দ অনুরোধ করতেন যেন রানি তাঁদের ছবিতে কাজ করার সুযোগ পান।
অভিনেতা নানা ধরনের উপহারও পাঠাতেন রানিকে। দুই তারকার এই সম্পর্ক গোবিন্দের বিবাহিত জীবনে প্রভাব ফেলতে শুরু করে। যখন গোবিন্দ ও তাঁর স্ত্রী সুনীতার সম্পর্ক বিচ্ছেদের দোরগোড়ায়, সেই সময় রানির সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে নেন অভিনেতা।
অভিনেত্রী রানি মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে জড়িয়েছে আদিত্য চোপড়ার নামও। পরিচালক-প্রযোজক আদিত্য তাঁর কলেজের বান্ধবী পায়েল খন্নাকে বিয়ে করেছিলেন।
রানির সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বলেই আদিত্য এবং পায়েলের সম্পর্কে টান পড়ে বলে অনেকে মনে করেন। ২০১৪ সালে আদিত্য ও রানি গাঁটছড়া বাঁধেন।
২০০৪ সালে প্রেক্ষাগৃহে ‘এইতরাজ’ ছবিটি মুক্তি পায়। এই সিনেমার শ্যুটিং চলাকালীন প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন বলিউডের ‘খিলাড়ি’ অক্ষয় কুমার।
কানাঘুষো শোনা যায়, অক্ষয়-পত্নী টুইঙ্কল নাকি জনসমক্ষে অক্ষয়কে চড় মেরেছিলেন। সেই কারণেই নাকি অক্ষয়ের বিপরীতে প্রিয়ঙ্কা থাকছেন শুনে আর সেই ছবিতে অভিনয় করতে রাজি হননি অক্ষয়।
শুধু অক্ষয়ের সঙ্গেই নয়, প্রিয়ঙ্কার নাম জড়ায় বলিউডের আরও এক অভিনেতার সঙ্গেও। বলিপাড়ায় এক সময় গুজব রটেছিল যে বলিউডের ‘কিং খান’ শাহরুখের সঙ্গে প্রিয়ঙ্কার বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। অবশ্য এই খবর কতটা সত্য তা জানা যায়নি।
অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়ান অভিনেতা ও প্রযোজক আদিত্য পাঞ্চোলি। তাঁদের এই সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যেও আসে। কঙ্গনা জনসমক্ষে জানান, আদিত্যর সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন তাঁর উপর শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। অন্য দিকে আদিত্য জানিয়েছেন, কঙ্গনাই নাকি তাঁকে ঠকিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত আদিত্য এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেন।
অর্জুন কপূরের সঙ্গে সলমনের বোন অর্পিতার সম্পর্ক বহু দিনের। ব্যক্তিগত কারণে তাঁদের সম্পর্কে ছেদ পড়ে। কিন্তু অভিনেতা জড়িয়ে পড়েন অন্য এক সম্পর্কে।
সলমন খানের ভাই আরবাজ খানের স্ত্রী মালাইকা অরোরা খানের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান অর্জুন। অনেকে মনে করেন, অর্জুনের জন্যই আরবাজের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করেন মালাইকা।
তবে, এর আগেও বলিউডের আরও অনেক অভিনেতা বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন। বলিউডের ‘ডিস্কো ডান্সার’ মিঠুন চক্রবর্তী এবং শ্রীদেবী। অভিনয় সূত্রেই আলাপ হয় দু’জনের।
বলিউডের অনেকের ধারণা, শ্রীদেবীকে লুকিয়ে বিয়ে করেছিলেন মিঠুন। কিন্তু মিঠুনের স্ত্রী যোগিতা আত্মহত্যার হুমকি দিলে শ্রীদেবী ও মিঠুন তাঁদের সম্পর্কে ইতি টানেন।
বলিউডের প্রযোজক বনি কপূরও শ্রীদেবীর সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়ান। বলিপাড়ার একাংশের দাবি, শ্রীদেবীই বনির সঙ্গে মোনার সম্পর্কে ইতি টানেন। অভিনেত্রী যখন সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা, তখন বনির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন তিনি।
‘প্যার হুয়া ইকরার হুয়া’ গানের দৃশ্য মনে পড়ে? রাজ কপূর এবং নার্গিসের সম্পর্ক শুধু মাত্র বড় পর্দাতেই নয়, অভিনেত্রীর সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন রাজ। কিন্তু পরবর্তীতে নিজে থেকেই নার্গিসের থেকে দূরে সরে আসেন তিনি।
১৯৫৪ সালে ধর্মেন্দ্র বিয়ে করেন প্রকাশ কউরকে। অভিনয় সূত্রে তাঁর আলাপ হয় বলিউডের ‘ড্রিম গার্ল’ হেমা মালিনীর সঙ্গে। ১৯৮০ সালে তাঁরা বিয়ে করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু ধর্মেন্দ্রর স্ত্রী প্রকাশ ডিভোর্স দিতে রাজি না হলে ধর্মেন্দ্র ও হেমা দু’জনেই নিজেদের ধর্ম পরিবর্তন করে নেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।