রাজশাহীতে বিচারকের ছেলে তাওসিফ রহমান সুমনকে (১৫) হত্যা ও তার মাকে গুরুতর আহত করার ঘটনায় গ্রেপ্তার লিমন মিয়া (৩৫) পুলিশের কাছে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসির সঙ্গে তার পাঁচ বছরের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের জেরে তৈরি হওয়া বিরোধ থেকেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এর আগেই, গত ৬ নভেম্বর সিলেটের সুরমা থানায় দায়ের করা জিডিতে তাসমিন নাহার লুসি উল্লেখ করেন, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনে পরিচয়ের সূত্র ধরে লিমনকে আর্থিক সহায়তা করতেন তিনি। কিন্তু সহায়তা বন্ধ করায় লিমন সপরিবারে হত্যার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। ৩ নভেম্বরও একই ধরনের হুমকি দেন লিমন।
জিডির ছয় দিন পর বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজশাহীর ডাবতলা এলাকার একটি ভাড়া ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে বিচারকের ছেলে সুমনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে লিমন। এ সময় বাধা দিতে গেলে আহত হন সুমনের মা তাসমিন নাহার লুসি। গুরুতর আহত অবস্থায় লুসিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। লিমনও আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন থাকলেও তাকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
অপারেশন থিয়েটার থেকে বের হওয়ার সময় লিমন সাংবাদিকদের সামনে বলেন, “বিচারকের স্ত্রীর সঙ্গে আমার পাঁচ বছরের সম্পর্ক। তিনি জোর করে আমাকে পরকীয়ায় বাধ্য করেছেন। এখন তিনি সম্পর্ক অস্বীকার করছেন এবং আমার সঙ্গে সব যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন।” তিনি আরও দাবি করেন, লুসির সঙ্গে কথা না বলতে দিলে ‘তার দম বন্ধ হয়ে আসে’, সেই কারণেই তিনি দেখা করতে গিয়েছিলেন।
লিমনের ভাষ্য, দেখা করতে গিয়ে তিনি লুসিকে গোলাপ, পপকর্ন ও বাদাম দেন। পরে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তাকে ফল কাটার চাকু দিয়ে আঘাত করেন এবং বাধা দিতে এলে সুমনের উপর হামলা চালান।
ঘটনার পরপরই পুলিশ লিমনকে অচেতন অবস্থায় আটক করে। তার বাড়ি গাইবান্ধার ফুলছড়ি এলাকায়।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবু সুফিয়ান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, লিমন বিচারক পরিবারের পরিচিত ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ব্যক্তিগত বা পারিবারিক বিরোধকে হত্যার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



