জুমবাংলা ডেস্ক : শেয়ারবাজারে টানা পতনের কারণে বড় বিনিয়োগকারীরা নিজেদেরকে ধীরে ধীরে গুটিয়ে নিয়েছিল। এক পর্যায়ে বাজারে সূচক ও লেনদেনে পতন প্রবণতা ঝেঁকে বসে। সূচক কমতে কমতে তলানিতে এসে ঠেকে। পাশাপাশি লেনদেনের খরাও বড় আকার ধারণ করে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেয়ারবাজারে এখন ভয়াবহ তলানিতে এসে ঠেকেছে। এখান থেকে শেয়ারবাজার সামনে যাওয়ার অনেকস্পেসরয়েছে। কিন্তু পেছনে যাওয়ার তেমন স্পেসনেই।
তাঁরা বলছেন, চলতি বছরের ৬ মাসে বাজারের সূচক কমেছে হাজার পয়েন্টের বেশি। বিনিয়োগকারীদের পুঁজি উধাও হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা। এখন সেই হারানো সূচক ও পুঁজি উদ্ধারের পালা। বিনিয়োগকারীরা কিছুটা ধৈর্য্য ধারণ করলেই বাজার তর তর করে ওপরে উঠে যাবে।
তাঁদের মতে, বাজার এখন বিনিয়োগ অনুকূল। এখন বিনিয়োগ করলে লাভ হওয়ার সম্ভাবনা সমধিক। বিষয়টি মাথায় রেখে বড় বিনিয়োগকারীরা ধীরে ধীরে বাজারে ফিরছেন। যে কারণে বাজারে সূচক ও লেনদেন থেমে থেমে হলেও ইতিবাচক প্রবণতায় অগ্রসর হচ্ছে।
বুধবারের বাজার পরিস্থিতি
আজে বুধবার (২৫ জুন) ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬০.৮৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৩০২ পয়েন্টে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরীয়াহ সূচক ১৬.২৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ১৬৫ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২৫.৮৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৯০৩ পয়েন্টে।
আজ ডিএসইতে ৬০৫ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫২৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকার। তার আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৭৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।
আজ ডিএসইতে ৪০৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২৫১টির, কমেছে ৮৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৪টির।
অপর শেয়ারবাজার চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএই) আজ লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
এদিন সিএসইতে ২৪০টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৫টির, কমেছে ৮৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৯টি প্রতিষ্ঠানের।
আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২১৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। এরমধ্যে দর বেড়েছিল ৯০টির, কমেছিল ৯৬টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।