আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যত বড় ভুঁড়ি, তত বেশি সম্মান। ভুঁড়িই এনে দিতে পারে সেরার খেতাব, এটিই সৌন্দর্যের সর্বোচ্চ মাপকাঠি। এমন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কারের প্রচলন রয়েছে দক্ষিণ ইথিওপিয়ার বোদি জাতির মধ্যে। এ প্রতিযোগিতায় জিতলে জুটবে নায়কের সম্মান, মিলবে বিয়ে ছাড়াই একাধিক নারীর সঙ্গে মিলিত হওয়ার সুযোগ।
এই পুরস্কার জিততে এই গোষ্ঠীর পুরুষরা ছয় মাস ধরে খেয়ে খেয়ে নিজের ভুঁড়ি বড় করে থাকেন। সবচেয়ে সেরা হতে বিরাট ভুঁড়ি বানিয়ে দেখাতে হয় তাদের। আর মোটা হতে তারা নিয়মিত গরুর রক্ত এবং দুধের মিশ্রণ পান করেন।
এই উপজাতির কাছে গরু ভীষণ শ্রদ্ধার প্রাণী। তাদের ভাষায় গরুর নামে ৮০টিরও বেশি সমার্থক শব্দ রয়েছে। এ কারণে রক্তের জন্য তারা গরু জবাই করে না। এর বদলে বর্শা দিয়ে একটি শিরা ছিঁড়ে একটি পাত্রে রক্ত সংগ্রহ করে ক্ষতস্থানটি কাদামাটি দিয়ে বন্ধ করে দেয়।
প্রতি বছর নববর্ষের সময় কায়েল নামে ঐ উৎসবের ছয় মাস আগে গ্রামের কিছু তরুণকে বাছাই করা হয় প্রতিযোগিতার জন্য। ঐ ছয় মাস তারা সবার থেকে আলাদা থাকে, ভিন্ন জীবানাচার পালন করে। সেখানে তাদের বিশেষ খাবার এবং পানীয় খাওয়ানো হয়। উৎসবের সময় তারা তাদের নাদুসনুদুস শরীর প্রদর্শন করে। সেই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হতে পারলেই বাকি জীবনের জন্য গ্রামে নায়কের সম্মান পাওয়া যায়।
তবে এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়া বেশ কঠিন। কায়েলের জন্য ভুঁড়ি বানাতে গিয়ে কেউ কেউ এত মোটা হয়ে যায় যে তারা নড়াচড়া করতে পারে না। তবে জাতির সম্মানের জন্য এটি করতে আগ্রহ থাকে প্রায় সব পুরুষের মধ্যেই।
https://www.facebook.com/theophilus.alibitako/posts/2830285900567604
বছরের জুন ও জুলাইয়ে উৎসবের কয়েকদিন আগে থেকে পুরুষরা নিজেদের মাটি ও ছাই দিয়ে ঢেকে রাখে। এরপর উৎসবের দিনে ভুঁড়ি নিয়ে প্যারেড করে। সেখানেই বাকিরা সবচেয়ে বেশি বড় ভুঁড়িওয়ালাকে ভোট দেয়। নির্বাচিত ব্যক্তিই পরবর্তীতে সম্মান লাভ করে। যদিও উৎসবের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তারা আবারো ভুঁড়ি কমিয়ে আগের অবস্থায় চলে আসেন।
নির্বাচিত হওয়ার পর ঐ ব্যক্তি সারাজীবনের জন্য অবসর গ্রহণ করেন। তিনি যা চান, তা-ই হাতের কাছে পেয়ে যান। তার সব চাহিদা পূরণ করেন বোদিরা। তিনি নিজের খুশিমতো যা ইচ্ছে তা-ই করতে পারেন। এমনকি বিয়ে ছাড়া পছন্দ হলেই একাধিক বোদি নারীর সঙ্গে মিলিতও হতে পারেন। এভাবেই তার জীবন কাটে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।