বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে বড় ধরনের জয় পেয়েছে শর্ট-ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক। আগামী ১ জানুয়ারি কার্যকর হতে যাওয়া নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে মন্টানার এক বিচারক বলেছেন, এ আইন ব্যবহারকারীদের বাক স্বাধীনতার অধিকার লঙ্ঘন করেছে। খবর দ্য গার্ডিয়ান।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) মার্কিন অঙ্গরাজ্যটির জেলা বিচারক ডোনাল্ড মলয় বলেন, টিকটক নিষেধাজ্ঞার আইনটি ‘রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ও ব্যবহারকারীদের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করে’।
ফেডারেল নিষেধাজ্ঞার হুমকিতে থাকা চীনা সংস্থা বাইটড্যান্সের মালিকাধীন এ অ্যাপ একাধিকবার মার্কিন তদন্ত সংস্থার নজরদারিতে পড়ে। এমনকি কর্তাব্যক্তিদের ডাকা হয় কংগ্রেসে। এ সব কারণে আদালতের সিদ্ধান্ত কোম্পানিটির জন্য বড় জয় হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। তবে বাইটড্যান্স এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য করেনি।
গত মে মাসে মন্টানা রাজ্যে টিকটক নিষিদ্ধকারী প্রথম রাজ্য হয়ে ওঠে। এ আইনের লক্ষ্য গুগল প্লে ও অ্যাপ স্টোরের মতো মার্কেটপ্লেসগুলো। নিষেধ অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। তবে এ আইনের অধীনে ব্যবহারকারীরা দোষী সাব্যস্ত হবেন না।
গভর্নর গ্রেগ জিয়ানফোর্ট বিলে স্বাক্ষর করার পরই মন্টানার বিরুদ্ধে মামলা করে টিকটক। তাদের যুক্তি ছিল এ আইন মার্কিন সংবিধানে দেয়া কোম্পানি ও ব্যবহারকারীদের অধিকার লঙ্ঘন করে। মন্টানায় টিকটক ব্যবহারকারীরাও নিষেধাজ্ঞা রদ করার জন্য মামলা করেছিলেন।
তবে রাজ্য অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস এ আইনের পক্ষে। তারা মন্টানার ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য-উপাত্ত ও সম্ভাব্য চীনা গুপ্তচরবৃত্তির বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছিল আগেই।
এর আগে আদালতে টিকটকের পক্ষ থেকে বলা হয়, চীন সরকারের সঙ্গে মার্কিন ব্যবহারকারীদের তথ্য ভাগাভাগি করেনি ও ভবিষ্যতেও করবে না। ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা রক্ষারয় যথেষ্ট ব্যবস্থা নিয়েছে টিকটক।
গত অক্টোবরে শুনানিতে বিচারক মলয় প্রশ্ন করেছিলেন, অন্য মার্কিন রাজ্যগুলো কেন টিকটককে নিষিদ্ধ করার জন্য মন্টানাকে অনুসরণ করেনি। আরো জিজ্ঞাসা করেন, ব্যবহারকারীদের তথ্য সুরক্ষিত করার যুক্তিটি ‘পিতৃতান্ত্রিক’ কিনা।
যুক্তরাষ্ট্রে আনুমানিক ১৫ কোটি মানুষ প্রতি মাসে টিকটকে প্রবেশ করেন, যার মধ্যে মন্টানায় ব্যবহার করেন তিন লাখ ৮০ হাজারেরও বেশি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।