লাইফস্টাইল ডেস্ক : অনেকেই হয়ত জানেন না মোটরসাইকেলে রিজার্ভ ফুয়েল ট্যাংক থেকে। ফুয়েল ট্যাংকের একটি কম্পার্টমেন্টে সঞ্চিত থাকে জ্বালানি। মূল ট্যাংকে জ্বালানি শেষ হলে কাজ করে রিজার্ভ ট্যাংক। সাধারণত কার্বুরেটর ইঞ্জিনে রিজার্ভ ট্যাংক থাকে। বাইকের জ্বালানি শেষ হলে তেলের চাবির নব রিজার্ভ ট্যাংকে ঘুরিয়ে এই জ্বালানি ব্যবহার করা যায়।
যখন ফুয়েল ট্যাংকে জ্বালানি ভরা হয় তখন মূল ফুয়েল ট্যাংকের পাশাপাশি মোটরসাইকেল ও স্কুটারে রিজার্ভ ফুয়েল ট্যাংকেও তেল প্রবেশ করে। তবে এই ট্যাংকের ক্যাপাসিটি খুব বেশি হয় না। ১ থেকে ২.৫ লিটার জ্বালানি রাখা যায় এতে।
কোথায় থাকে রিজার্ভ ফুয়েল ট্যাংক?
৯৯ শতাংশ মোটরসাইকেল রিসার্জ ফুয়েল ক্যাপাসিটি দেওয়া হয়, বর্তমানে বহু স্কুটারেও এই সুবিধা পাওয়া যায়। এই রিজার্ভ ফুয়েল দেওয়ার জন্য আলাদা কোনো ট্যাংক ব্যবহার করা হয় না। মূল ফুয়েল ট্যাংকের একদম নিচেই থাকে এর অবস্থান তবে পরিমাণে হয় কম। রাইডার চাইলে মূল ট্যাংক থেকে রিসার্ভ ফুয়েল ট্যাংকে সুইচও করতে পারেন।
বাইকের রিজার্ভ ফুয়েল ট্যাংক কেন থাকে?
আপদকালীন সময়ে মূল ট্যাংকে জ্বালানি যদি শেষ হয়ে যায় সেই ক্ষেত্রে মাঝ রাস্তায় যাতে চালক আটকে না পড়ে তার জন্য দেওয়া হয় রিসার্ভ জ্বালানি। যাতে সেই জ্বালানি ব্যবহার করে পেট্রল পাম্প পর্যন্ত পৌছতে পারেন বাইক চালক।
কীভাবে কাজ করে রিজার্ভ ফুয়েল?
এর জন্য দেওয়া হয় একটি অন সুইচ যা চাপলেই ট্যাংক থেকে জ্বালানি কার্বুরেটরে পৌঁছায়। ঠিক তেমনই ‘রেস’ পজিশনে নিয়ে গেলে রিজার্ভ জ্বালানি কার্বুরেটরে প্রবাহিত হয়। এই জ্বালানির ব্যবহার তখনই করা উচিত যখন মূল ট্যাংকে জ্বালানি শেষ হয়ে যায়।
মনে রাখতে হবে ‘রেস’ পজিশনের নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ বাদই ট্যাংকে জ্বালানি ভরা উচিত, জ্বালানি ভরার পর রেস পজিশনে টু হুইলার চালাবেন না। পাশাপাশি ফুয়েল ভালভ কখনোই বারবার অন/অফ করবেন না এর ফলে রিসার্ভ জ্বালানি শেষ হয়ে যেতে পারে।
এছাড়া কেউ যদি ঘন ঘন রিজার্ভ জ্বালানির ব্যবহার করেন সে ক্ষেত্রেও বিপদ হতে পারে। মূল ট্যাংকে যদি পর্যাপ্ত জ্বালানি না থাকে তাহলে ইঞ্জিনের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এর ফলে বাইকের পারফরম্যান্স কমে যায় এবং মাইলেজের কাটাও ধীরে ধীরে নিচে নামতে শুরু করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।