জুমবাংলা ডেস্ক : মো. আব্দুল ওয়াকেল (৩৩) রাজশাহীর কাটাখালীর আশরাফ মেমোরিয়াল মডেল স্কুলের শিক্ষক। ছাত্রাবস্থায় তিনি এলাকায় টিচ-ইন্ট নামে একটি কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করতেন। সে সময় থেকেই কোচিংয়ের টার্গেটকৃত কোমলমতি ছাত্রদের চকলেট, মোবাইলে গেমস খেলার প্রলোভন দেখিয়ে অপ্রাকৃতিক যৌ.ন.চা.র করে সেগুলো ভিডিও করে রাখতেন।
অবশেষে আব্দুল ওয়াকেলকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। এ সময় তার কাছ থেকে একটি মোবাইলফোন, দুটি পেনড্রাইভ ও দুইটি হার্ডডিস্ক উদ্ধার করা হয়। এসব ডিভাইসে যৌ.ন.চা.রের ভিডিও পাওয়া গেছে।
শনিবার (১৮ মে) রাজশাহী মেট্রোর মতিহারের ওয়ার্ড নম্বর ২৯ শ্যামপুর ডাঁশমারী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
রোববার সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানিয়েছে সিআইডি।
জানা গেছে, যৌন নিপীড়নের দৃশ্যগুলো ভিডিও ধারণ করে অভিযুক্ত শিক্ষক নিজের মোবাইলফোন, পেনড্রাইভ, কম্পিউটার এবং এক্সটার্নাল হার্ডডিস্কে সংরক্ষণ করে রাখে। এরপর সার্চ ইঞ্জিন এসব তথ্য পৌঁছে দেয় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ন্যাশনাল সেন্টার ফর মিসিং অ্যান্ড এক্সপ্লোয়েটেড চিলড্রেন (এনসিএমইসি) নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে। বাংলাদেশে এই প্রতিষ্ঠানের সহযোগী হিসেবে কাজ করে সিআইডি।
তাই এনসিএমইসি এসব ভিডিওকে ‘চাইল্ড অ্যাবিউজড’ কনটেন্ট হিসেবে সিআইডিকে পাঠায়। এ তথ্যের ভিত্তিতে সিআইডির নিজস্ব ক্রিমিনাল ইন্টেলিজেন্স টিম তদন্ত শুরু করে। পরে শনিবার রাতে শ্যামপুর ডাঁশমারী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আব্দুল ওয়াকেল স্বীকার করেন, অনার্স পড়াকালীন সময় থেকে ছেলে বাচ্চাদের সঙ্গে বিকৃত যৌনাচার করতেন। এ নেশা থেকে তিনি বালকদের নিয়ে কোচিং সেন্টার চালু করেন। কোচিং সেন্টারে পড়া বাচ্চাদেরকে নানাভাবে প্রলুব্ধ করে বিভিন্ন গোপন স্থানে নিয়ে অপ্রাকৃতিক যৌ.ন.চা.র করে ভিডিও করে রাখতেন। এখন পর্যন্ত তিনি ৩০ জন স্কুল ছাত্রের সঙ্গে অপ্রাকৃতিক যৌ.ন.চা.র করেছেন।
এ ঘটনায় ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে পল্টন মডেল থানায় প.র্নো.গ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।