জুমবাংলা ডেস্ক : দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে ভ্রমণপিপাসুদের কাছে প্রিয় হয়ে উঠছে সাগরকন্যা খ্যাত পটুয়াখালীর কুয়াকাটা। তবে একসময়ের ঢাকা-কুয়াকাটা ২৯৪ কিলোমিটার পথে সবচেয়ে ভোগান্তির জায়গা ছিল ছোট-বড় ১২টি ফেরি।
সর্বশেষ ২০২১ সালের অক্টোবরে পায়রা নদীর ওপর নির্মিত লেবুখালী সেতু উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ২৫ জুন উদ্বোধন হতে যাচ্ছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। ফলে কুয়াকাটার সঙ্গে মেলবন্ধ তৈরি হচ্ছে দেশের সব জেলার।
যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে এতদিন এ অঞ্চল থেকে মুখ ফিরিয়ে রেখেছিল ভিআইপি বাস কোম্পানিগুলো। তবে পদ্মা সেতু উদ্বোধন সামনে রেখে নড়েচড়ে বসেছে পরিবহন কোম্পানি। ভিআইপি বাসের যাতায়াত শুরু হচ্ছে কুয়াকাটায়।
বর্তমানে কুয়াকাটায় যেসব কোম্পানির বাস চলাচল করছে সেগুলো সরিয়ে বিলাসবহুল বাস নামাতে রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। তবে বাস সার্ভিস দিতে এরই মধ্যে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন বাস মালিকরা।
কুয়াকাটায় বিআরটিসি বাস কাউন্টার ইনচার্জ জুয়েল জোমাদ্দার বলেন, পদ্মা সেতুর কারণে কুয়াকাটায় পরিবহন সেক্টরে ব্যাপক পরিবর্তন শুরু হয়েছে। এখন বাস কাওড়াকান্দি ঘাট পর্যন্ত যায়। কিন্তু ২৫ জুনের পরে সরাসরি ঢাকা থেকে বিলাসবহুল এসি বিআরটিসি বাস কুয়াকাটায় আসবে। সেতু উদ্বোধনের আগেই ইউনিক, হানিফ, শ্যামলী, গ্রিন সেন্টমার্টিন, প্রচেষ্টা, ইলিশসহ বেশ কয়েকটি কোম্পানি কাউন্টার চালু করেছে।
সৌদিয়া পরিবহনের কাউন্টার ইনচার্জ কামাল পাটোয়ারী বলেন, বর্তমানে কুয়াকাটা থেকে ৫০টির বেশি পরিবহন দেশের বিভিন্ন জেলায় যায়। পদ্মা সেতু চালুর পর আরও কিছু বাস আসবে। এরই মধ্যে সি বিচ, এনা, দেশ ট্রাভেলস, গ্রিন লাইন, ইউরো, ডিপজল, সোহাগসহ কয়েকটি পরিবহনের সঙ্গে কথা চলছে। আশা করি ২৫ জুনের পর দৈনিক শতাধিক বাস কুয়াকাটা থেকে ছাড়তে পারবো।
আরেক পরিবহনের ইনচার্জ মিলন পহলান বলেন, বর্তমানে বেশিরভাগ পর্যটক কুয়াকাটায় আসতে লঞ্চের ওপর ভরসা করেন। কিন্তু যেসব বিলাসবহুল পরিবহন আসছে তাতে আর লঞ্চকে ভরসা করতে হবে না।
হোটেল সমুদ্র বিলাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. ইসমাইল ইমন বলেন, পর্যটনখাতের অন্যতম বড় নির্ভরশীলতার জায়গা পরিবহন। এতদিন যেসব পরিবহন সার্ভিস দিয়েছে সেগুলো প্রয়োজন মেটালেও বিলাসবহুল কোনো বাস আসেনি। তবে এবার যে নামিদামি বাসগুলো আসছে তা কুয়াকাটার অনেকটা পরিবর্তন করতে সক্ষম হবে।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সেক্রেটারি জেনারেল জহিরুল ইসলাম বলেন, পদ্মা সেতু নিঃসন্দেহে কুয়াকাটার পরিবর্তন ঘটাবে। যার বড় একটি অংশ পরিবহনখাত। তাই পরিবহন মালিক ও সংগঠকদের সঙ্গে বারবার বৈঠক করছি, যাতে শুধু বাস দিয়ে তারা লাভবানের চেষ্টা না করেন, সেবার মানটাও শতভাগ নিশ্চিত করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।