আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মাইক্রোসফটের উদ্ভাবক, কো-ফাউন্ডার। বিশ্বের ধনীদের শীর্ষ তালিকার অন্যতম নাম, যাঁর কথা, কাজ বারবার অনুপ্রাণিত করেছে বহু মানুষকে। মাইক্রোসফট এই মুহূর্তে বিশ্বের বড় সংস্থাগুলির মধ্যে অন্যতম। তাঁর সাফল্য, কাজের দিকে বহু তরুণ-তরুণী তাকিয়ে থাকেন অবাক হয়ে। একাধিকবার তিনি তরুণ প্রজন্মকে সাফল্যের মন্ত্র দিয়েছেন। উৎসাহিত করেছেন কাজের প্রতি। বলেছেন যে কোনও বিষয়ে কৌতূহলী থাকতে, বলেছেন, পড়াশোনা করতে প্রচুর পরিমাণে।
এবার বললেন, তাঁর শৈশবের অন্যতম এক রুটিন বা অভ্যাসের কথা। যে অভ্যাস তাঁকে পৌঁছে দিয়েছে সাফল্যের দ্বোরগড়ায়। কী সেই রুটিন? কী সেই অভ্যাস? বিল গেটস তাঁর এক সাম্প্রতিক ব্লগে লিখেছেন ওই অভ্যাস বিষয়ে।
মাইক্রোসফট প্রধান বলছেন, ছোট থেকেই, যখন তিনি অস্থির থাকতেন যে কোনও বিষয়ে, তিনি নিজেকে বন্দী করে ফেলতেন একটা ঘরে। ডুবে যেতেন পড়াশোনায়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সেভাবেই কাটাতেন। নিজের ভাবনা চিন্তার মধ্যে থাকতেন। তিনি বলেছেন, কেবল সেই অস্থির সময় কাটাতেই নয়, তাঁর জীবনের সাফল্যের বিষয়েও এই অভ্যাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
১৯৯০, তার আশেপাশের সময়েও এই অভ্যাস ছিল গেটসের। মাইক্রোসফটের দিনগুলিতে তিনি প্রতি বছর ‘থিংক উইক’ নিতেন। ওয়াশিংটনের এক জায়গায় তিনি নিজেকে বন্দি করে নিতেন। ওই ঘরে থাকতেন তিনি এবং বই। টেকনিকাল কাগজ পত্র এবং বই নিয়ে কাটাতেন ঘন্টার পর ঘণ্টা। লিখতেন পাতার পর পাতা। ভবিষ্যতের কাজের পরিকল্পনা ছকে নিতেন ওই এক সপ্তাহে বসেই।
সেই সময় এমনকি কারও সঙ্গে কথা বলতেন না তিনি। কেবল যে খাবার সরবরাহ করতেন, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। ওই সময়ে কোনও ইমেলও দেখতেন না বিল গেটস। বর্তমানের স্মার্ট ফোন এবং প্রযুক্তির যুগে বড় হলে তিনি এই অভ্যাস করতেন কি না, করলেও কীভাবে করতেন সেই প্রশ্নও করেছেন তিনি। তাঁর শৈশবের সঙ্গে বর্তমান সময় এবং এই সময়ের শিশুদের জীবন যাত্রা, অভ্যাসের তুলনাও করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।