বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা ও বিশ্বের অন্যতম ধনী বিল গেটস। ফোর্বস সাময়িকীর সম্পদশালীদের তালিকায় ২০২১ সালের অক্টোবরের হিসাবে তার নিট সম্পদের পরিমাণ ১৩ হাজার ৫৪০ কোটি ডলার। প্রতিদিন যদি তিনি এক কোটি ডলার করে খরচ করেন, তবে ১৩ হাজার ৫৪০ দিন, অর্থাৎ ৩৭ বছরের বেশি লাগবে সে টাকা ফুরাতে।
এত ধনী একজন মানুষের ব্যবহারের গ্যাজেটও হবে অনেক নামিদামি। এটাই তো স্বাভাবিক। তবে জানেন কি বিশ্বের অন্যতম এই ধনী ব্যক্তি কোন ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন ব্যবহার করেন? অ্যাপল বা গুগল পিক্সেল নয়। বরং স্যামসাংয়ের সাধারণ একটি স্মার্টফোন ব্যবহার করেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস।
সম্প্রতি বিল গেটস নিজেই জানিয়েছেন এ তথ্য। সেখানে তিনি বলেছেন, স্যামসাং গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড ৩ ফোন ব্যবহার করেন। এমনকি মাইক্রোসফটের সারফেস ডুও ফোনও তিনি দৈনিক ব্যবহার করেন না।
চলতি সপ্তাহে একটি Reddit AMA চলছিল। এএমএ (AMA)-এর পুরো অর্থ হচ্ছে আস্ক মি অ্যানিথিং (Ask Me Anything)। সেখানে যে কাউকে যে কোনো প্রশ্ন করা যেতে পারে। ওই অনুষ্ঠানে বিল গেটসকে প্রশ্ন করা হয় তার ব্যবহার করা ফোন নিয়ে।
ওই প্রশ্নের জবাবে বিল গেটস বলেন, তার প্রতিদিন ব্যবহারের জন্য স্যামসাং গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড ৩ ফোন রয়েছে। তবে নিজের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে মন্তব্য বিল গেটসের এবারই প্রথম নয়। এর আগেও বেশ কয়েকবার তিনি তার ব্যবহার করা ফোন নিয়ে মন্তব্য করেছেন। সেখানে তিনি সরাসরি নিজের ফোনের বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও জানিয়েছিলেন যে তিনি অ্যান্ড্রয়েড ফোনই ব্যবহার করেন।
২০১৭ সালে এক সাক্ষাৎকারে বিল গেটসকে তার ফোন সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তবে তখন তিনি নিজের ফোন সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো মন্তব্য করতে চাননি। শুধু তিনি জানিয়েছিলেন, তার ফোনটি অ্যান্ড্রয়েডে পরিচালিত হয়।
বিল গেটসের মতো এত বড় একজন মানুষ সাধারণ একটি স্মার্টফোন ব্যবহার করেন তা অনেকেই বিশ্বাস করতে চাইবে না। এ নিয়ে তিনি বলেছেন তিনি শুধু ফোনটির স্ক্রিনের জন্যই সেটি ব্যবহার করেন। কারণ স্যামসাং গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড ৩ ফোনটির স্ক্রিন বেশ বড় এবং ফোল্ডেবল। যা ফোল্ডেবল পিসির মতোই কাজ করতে পারে।
তবে অনেকেই মন্তব্য করেছেন স্যামসাংয়ের সঙ্গে পার্টনারশিপ রয়েছে মাইক্রোসফটের। সে কারণেও বিল গেটস স্যামসাংয়ের ফোন ব্যবহার করে থাকতে পারেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।