আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতির পরিমাণ ২৩ শতাংশ বেড়ে ১ দশমিক ৬৯৫ ট্রিলিয়নে দাঁড়িয়েছে যা করোনা পরবর্তী সময়ে সর্বোচ্চ।
সম্প্রতি বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাকালে অর্থাৎ ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ২ দশমিক ৭৮ ট্রিলিয়ন। ২০২১ সালের পর ২০২২ সালে ঘাটতির পরিমাণ কমলেও নতুন করে বড় রকমের বাজেট ঘাটতির মুখে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি।
সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যখাতে খরচ বেড়ে যাওয়া এবং মূল্যস্ফীতি সামাল দিতে উচ্চমাত্রার সুদের হার বাজেটের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে বলে জানিয়েছে দেশটির ফেডারেল রিজার্ভ।
এমন সময় বাজেট ঘাটতির তথ্য সামনে আসলো যখন বাইডেন প্রশাসন জানিয়েছে, ইউক্রেন-ইসরাইলসহ এশিয়া প্যাসিফিকে নিরাপত্তার স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্র ১০০ বিলিয়ন ডলার সাহায্য দেবে। এর মধ্যে ইউক্রেনের ভাগে পড়বে ৬০ বিলিয়ন ডলার, ইসরাইল পাবে ১৪ বিলিয়ন ডলার এবং বাকি অর্থ যাবে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্তাব্যক্তিরা বলছেন, রিপাবলিকানদের সিদ্ধান্তের বোঝা বইতে হচ্ছে ডেমোক্র্যাট সরকার। ট্রাম্পের সময় কর হ্রাস আর হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভসে রিপাবলিকানদের চাপের মুখে অনেক সিদ্ধান্ত নিতে গিয়েও হিমশিম খেতে হচ্ছে বাইডেন প্রশাসনকে। অন্যদিকে বিশ্ব মোড়লের তকমা ধরে রাখতে চলমান যুদ্ধে বিনিয়োগ এবং অনুদান যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বাড়তি বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি জেনেট ইয়েলেন বলেন, রাজস্ব ঘাটতির কারণে বাজেট ঘাটতি বেড়ে গিয়েছে। যে পরিমাণে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা পূরণ হয়নি। ঘাটতি বাজেট সামাল দিতে চাইলে বাইডেন প্রশাসনকে শিগগিরই কর আইন সংশোধন করতে হবে।
প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ডামাডোলের মধ্যেও ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ৩৭৫ ট্রিলিয়ন। গত বছরের শেষের দিকে এসে মন্দার ভয় অনেকটা মিলিয়ে গেলেও চলতি বছর দেশটির অর্থনীতি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে নতুন করে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।